তদন্তে গতি আনতে এবার কলকাতা পুলিশের নয়া অস্ত্র অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম
তদন্তে গতি আনতে এবার কলকাতা পুলিস অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম কিনতে চায়। অতি সম্প্রতি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লালবাজারের শীর্ষকর্তারা। এর জন্য বাজেট বরাদ্দ ধার্য করা হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার মতো। কলকাতা পুলিসের এক বিশেষ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই সিস্টেম কলকাতা পুলিসের হাতে এলে অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি চুরি, ডাকাতি থেকে খুন-ধর্ষনের মতো জটিল অপরাধের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত ও আদালতগ্রাহ্য প্রমাণ সংগ্রহর কাজে সুবিধা হবে। ফলে অপরাধীদের দ্রুত সাজা দেওয়ার পথ সুগম হবে। স্বাভাবিকভাবে এতে শহরে অপরাধ কমার সম্ভাবনা থাকবে বলে মনে করছেন লালবাজারের বড় কর্তারা।
কীভাবে কাজ করে এই আধুনিক প্রযুক্তির সিস্টেমটি? পুলিস কর্তাদের কথায়, অপরাধ বিজ্ঞান অনুযায়ী প্রকৃতিগতভাবে এক জন মানুষের হাতের ছাপ অন্যজনের থেকে আলাদা। তাই অপরাধী চিহ্নিত করতে অনেকদিন ধরেই ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবস্থা কাজে লাগানো হচ্ছে। কম্পিউটারে আগে থেকে সংরক্ষণ করে রাখা দাগী অপরাধীদের সঙ্গে অপরাধস্থল থেকে পাওয়া দুষ্কৃতীর হাতের ছাপ ম্যাচিং করানো হয়। অনেকটা হাল আমলের সরকারি-বেসরকারি অফিসের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স ব্যবস্থার মতো।
বর্তমানে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা প্রথমে অপরাধস্থল থেকে সন্দেহজনক দুষ্কৃতীর হাতের ছাপ সংগ্রহ করেন। তারপর আদালতের আনুমতি নিয়ে তা লালবাজারের ডেটাবেসে সংরক্ষিত দাগী অপরাধীর হাতের ছাপ সহ ভবানী ভবনে অবস্থিত ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়। সংগৃহীত ও সংরক্ষিত হাতের ছাপ মিলে গেলেই অপরাধী চিহ্নিত হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ। নতুন এই অটোমোটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেমে সরাসরি ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত ও ডেটাবেসে সংরক্ষিত হাতের ছাপ সরাসরি মেলানো যাবে মুহূর্তে।