সদ্য ওমিক্রন থেকে সেরে উঠেছেন, ভুল করেও খাবেন না এই খাবারগুলি
দু’বছর হয়ে গেল কিন্তু অতিমারি সৃষ্টিকারী ভাইরাস কিছুতেই যেতে চাইছে না। আরও কতদিন একই ভাবে আমাদের সংক্রমণ সৃষ্টি করে চলবে সে বিষয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরাও কিছু আন্দাজ করতে পারছেন না। সব থেকে মুশকিল হল করোনা সেরে যাওয়ার পরেও বেশিরভাগ মানুষের দুর্বলতা (Post Covid Diet) থেকে যায়।
কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট জানতে পারলেই বেশিরভাগ পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কিন্তু বিপদের মোকাবিলা তো করতেই হবে, চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাবার পাশাপাশি সঠিক ডায়েট করতে হবে। কোভিড নেগেটিভ হওয়ার পরেও পুষ্টিকর খাবার (Post Covid Diet) খাওয়া দরকার। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো দরকার। সেরে ওঠার পর অনেকদিন পর্যন্ত দুর্বলতা থাকে, খিদে থাকে না ইত্যাদি এক একজনের নানারকম সমস্যা দেখা দেয়।
সংক্রমণ চলে গেলেও শরীর আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগে। সুস্থ হওয়ার পরে, একই অবস্থায় ফিরে আসার জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়ম বজায় (Post Covid Diet) রেখে জীবনযাপন করা দরকার বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পুষ্টিবিদদের মতে, কোভিডের পরে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, অন্যথায় শরীরের আগের অবস্থায় ফিরে আসতে এবং হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফিরিয়ে আনতে সময় লাগতে পারে। এই সময় যেহেতু শরীর খুব দুর্বল থাকে, নানা রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যথাযথ বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি রোজকার ডায়েটে (Diet) এমন কিছু খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত যা রোগ নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখে নিন সেগুলি কী কী-
বাইরের খাবার একেবারেই নয়
কোভিড-সহ যে কোনও ভাইরাল জ্বর হলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও জলীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। আসলে কোভিড মুক্ত হওয়ার পরও কয়েক মাস শুধুমাত্র ঘরোয়া খাবারকে গুরুত্ব দিতে বলেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি বাইরের খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে। এমনিতে বাইরের খাবারে প্রচুর তেল-মশলা থাকে, যা শরীরের পক্ষে ভালো নয়। এই সময় শরীর দুর্বল থাকে, তাই বাড়ির কম তেল-মশলা যুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
কুকিজ, কেক এবং চকলেট এড়িয়ে চলুন
কুকিজ, কেক, চকোলেট, কার্বনেটেড পানীয়, প্যাকেটজাত ফলের রস এবং অন্যান্য চিনিযুক্ত পানীয়গুলিতে আসলে চিনির মাত্রা থাকে বেশি। তাই কোভিড থেকে সেরে উঠে এই সব খাবার এড়িয়ে চলুন। আবর কিছু পণ্যতে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই এগুলো খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন।
প্যাকেটজাত খাবারের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
প্রক্রিয়াজাত খাবার হল যা যান্ত্রিক এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়াকরণের মধ্য দিয়ে হয়ে থাকে এবং বাজারে ক্যান বা প্যাকেটে আসে। আজকাল ব্যস্ততার কারণে মানুষ প্রায়ই প্যাকেটজাত খাবার ব্যবহার করেন।প্যাকেটজাত খাবার একেবারে এড়িয়ে চলুন। প্যাকেটজাত চট্জলদি খাবার বা বাইরের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। শুধু তাই নয়, হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি মিষ্টি খাওয়াও এই সময় ঠিক নয়। এর ফলে স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা বাড়ে। রাতের ঘুমও বিঘ্নিত হয়।
ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
বাজারজাত যে কোনও ডুবো তেলে মুচমুচে করে ভাজা খাবার হচ্ছে ট্রান্স ফ্যাটে ভরা৷ সাধারণত হাইড্রোজেনেটেড তেলেই তা ভাজা হয়, একবার ব্যবহারের পর যে বাড়তি তেল থাকে, সেটা লাগাতার ব্যবহার করা হয়৷ পুরোনো তেল ফেলে দেওয়া হয় না৷ আলুর চিপস, তেলেভাজা, শিঙাড়া, জিলিপি, কচুরি, পকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার ইত্যাদি খাওয়ার একান্ত ইচ্ছে হলে বাড়িতে খেতে পারেন৷
হালকা খাবার খান
তেলমশলা থেকে একটু দূরেই থাকুন। এইসময় খাদ্য তালিকায় হালকা খাবার ও প্রচুর স্যালাড। বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না। বেশি সময় না খেয়ে থাকলে হালকা খাবারের সময়ও বেশি খেয়ে ফেলতে পারেন। তাই মূল খাবারের আগে নাশতার সময় ও বিরতি দেওয়ার বিষয়টি ঠিক করে নিন।