রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনে নামতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
ইতিমধ্যেই জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে রাজ্যসভায় প্রস্তাব আনতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্য পার্টির হাল–হকিকত তিনি নিজেই দেখবেন। এই কথা তিনি নিজেই দলের সাংসদদের জানিয়েছিলেন। এবার সেই কথা অনুযায়ী কাজ করতে চলেছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামতে চলেছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। আর এই ঘটনা ঘটলে গোটা বাংলা তোলপাড় হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই রেড রোডে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কোনও কথা বলেননি রাজ্যপালের সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যপাল অযথা রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। গতকাল কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে রাজ্যপালের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার রাজ্যপালকে সরাতে প্রয়োজনে আন্দোলনে নামতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে রাজ্যসভায় প্রস্তাব আনতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১ ফ্রেরুয়ারি সংসদের বাজেট অধিবেশন। সেখানেও এই বিষয়টি তুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ১ ফ্রেরুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সেখানে সংসদের ভিতরে বাংলার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার হবেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালের বৈঠকে সাংসদদের বলেন, এই রাজ্যে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল। তাঁর অপসারণ চেয়ে চারবার চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালকে সরানো হয়নি। তাই এবার তিনি রাস্তায় নামবেন এবং রাজভবন অভিযান করবেন। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর পর্যায়ের পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে হিউম্যান রাইটস কমিশন তৈরি করলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমাদের মনে হচ্ছে, রাজ্যপালকে যেন নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে যে, রাজ্য সরকারকে বিব্রত করুন। লোকসভায়–রাজ্যসভায় কীভাবে সেন্সর মোশন করে বিষয়টি উত্থাপন করা যায় তা নিয়ে ভেবে দেখা হবে।’