ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ‘দুয়ারে সরকার’-এ মিলবে করোনা টিকা
ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে মিলবে করোনা টিকা। করা হবে ডায়াবেটিস, মুখের ক্যানসার, চোখ পরীক্ষাও। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাকরণের পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ। জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের। ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এই প্রথম দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে টিকাকরণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
সম্প্রতি দুয়ারে সরকার পেয়েছে জাতীয় সম্মান। কম্পিউটার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, সিএসআই-এর তরফে অ্যাওয়ার্ড অব এক্সেলেন্স ২০২১-এ সম্মানিত রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। মানুষের দরজায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার অভিনব প্রকল্পকে স্বীকৃতির দেওয়ার জন্যই এই সম্মান। ভারতে তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত সবথেকে বড় অ-লাভজনক সংস্থা কম্পিউটার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, সিএসআই। সফটওয়্যার ডেভেলপার, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, প্রজেক্ট ম্যানেজার মিলিয়ে সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ‘পাড়ায় সমাধান’। জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ‘পাড়ায় সমাধান’। মার্চের মধ্যে আবেদন খতিয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের বিধানসভা ভোটের আগে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে ক্যাম্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য আবেদন ও সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করে সরকার। ২০২০-তে বাঁকুড়াতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছিলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে রাজ্য সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা। সঙ্গে কেউ কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হলে তাঁকে সেই প্রকল্পের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করবেন তাঁরা।
‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ প্রকল্পকে ঠিকভাবে পরিচালনা করতে অ্যাপেক্স কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার। অ্যাপেক্স কমিটির নেতৃত্বে আনা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। রাজ্য, জেলা ও কলকাতা স্তরে গঠন করা হয় ৩টি টাস্কফোর্স। এই কমিটির অধীনেই কাজ টাস্ক ফোর্সগুলির। অ্যাপেক্স কমিটিতে রাখা হয়েছে রাজ্য সরকারি সমস্ত দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের।
সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাধারণ মানুষের কাছে সুবিধাজনকভাবে ও সময়-নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্যে সরকার পরিষেবা প্রদানের পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারিত ও উন্নত করছে। সরকার মনে করে যে, নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা মানুষ স্থানীয় সমস্যার সমাধানে সক্ষম এবং রাজ্য এই ধরনের উদ্যোগের পাশে রয়েছে।