কিভাবে জোরকদমে এগোবে তৃণমূল! সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে বৈঠক মমতা-অভিষেকের
গোয়া সফর থেকে ফিরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে কথা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মূলত সৌজন্য বৈঠক। মমতা সব খবর নেন। তারপর দিল্লি এবং কলকাতায় কীভাবে জোরকদমে এগোবে তৃণমূল, তার বার্তা দেন।
এটা স্পষ্ট যে কোনও কোনও মহলের বিকৃত প্রচারকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করে তৃণমূল এক ও ঐক্যবদ্ধ পরিবার হিসেবে চলবে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে সাংগঠনিক নির্বাচন। সেখান থেকে আবার সর্বভারতীয় সভানেত্রী নির্বাচিত হবেন মমতা। সেদিন তিনি দলের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এদিকে যে মহলটি থেকে দলের বিভেদজনিত বিকৃত প্রচার করা হচ্ছিল, শুক্রবার বেশি রাতে তাদের কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে দল। চিঠি দিয়েছেন রাজ্যসভায় দলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। তিনি সাফ লিখেছেন, বিভ্রান্তি ছড়াতে চানাচুরের মত মুখরোচক করে তৃণমূল (TMC) সংক্রান্ত অপপ্রচার বরদাস্ত করা হবে না।
সূত্রের খবর, সর্বোচ্চ নেত্রীর সঙ্গে কথার পর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও তাঁর নির্ধারিত কাজকর্মের গতি বাড়াচ্ছেন। তৃণমূল ঠিক করেছে দল সম্পর্কে কোনওরকম বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ তারা কাউকে দেবে না। অভিষেক এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া প্রচারের বিষয়ে কিছু রণকৌশলের নির্দেশ দিয়েছেন দলে। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল যেভাবে রোজ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন, তার বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব থেকে শুরু করে বড়সড় প্রতিবাদের পথে যাচ্ছেন অভিষেকরা।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু কষ্ট করে দল তৈরি করে আজ এই বিপুল সাফল্য ও প্রাসঙ্গিকতায় এনেছেন। জননেত্রীই দলের মুখ এবং শেষ কথা। আবার অভিষেক নতুন প্রজন্মের ভাবনা এবং কর্মপদ্ধতিতে সমৃদ্ধ করছেন দলকে। সিনিয়র ও জুনিয়রদের মিলিত চেষ্টায় দলের ধার এবং ভার বাড়ছে। এই সময় সকলেই সতর্ক থাকবেন যাতে কোনও মহল থেকে কোনোরকম ধোঁয়াশার বাতাবরণ কেউ ছড়াতে না পারে। এবার সাংগঠনিক নির্বাচনের পর আরও উদ্যম নিয়ে নামবে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।