রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

জন সমর্থন নেই, এবার বঙ্গ বিজেপির আশা মরিচঝাঁপির উদ্বাস্তু ভোট ঘরে টানা

January 29, 2022 | 2 min read

বাম আমলের মরিচঝাঁপি কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করে ফের বঙ্গ রাজনীতির লড়াইয়ে নামতে চলেছে বিজেপি। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী সোমবার সুন্দরবনের (Sunderban) এই উদ্বাস্তু এলাকায় যাচ্ছে বিজেপির (BJP)তফসিলি মোর্চার প্রতিনিধিদল। এই মর্মে তাদের একটি ব্যানারও তৈরি হয়েছে। তাতে সেই অভিশপ্ত দিনে ‘সর্ববৃহৎ তফসিলি গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করে ৩১ তারিখ মরিচঝাঁপি (Marichjhapi) যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে। ‘বিজেপি তফসিলি মোর্চার ডাকে মরিচঝাঁপি চলো’ – এই মর্মে ব্যানার ছাপা হয়েছে। তাতে নরেন্দ্র মোদি, জে পি নাড্ডা ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পলের ছবি রয়েছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে এনিয়ে বলেন, ”এটা আমাদের মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান, উদ্বাস্তুদের অধিকার, নাগরিকত্ব দেওয়া।”

শুধু সুন্দরবনই নয়, তফসিলি ভোট একত্রিত করতে বিজেপি জেলায় জেলায় অভিযানে নামছে। মরিচঝাঁপি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে জেলায় বিজেপি তফসিলি মোর্চার অবস্থান বিক্ষোভে থাকার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। মরিচঝাঁপিতে যাওয়ার কথা দলের তফসিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুদীপ দাস, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল এবং রাজ্য মুখপাত্র দেবজিৎ সরকারের।

বঙ্গ রাজনীতিতে যখন ফের মরিচঝাঁপিকে সামনে রেখে রণকৌশল তৈরি করছে বিজেপি, এমন সময়ে দাঁড়িয়ে এই ঐতিহাসিক ঘটনার দিকে একবার ফিরে তাকানো যাক। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারির ঘটনা। সেসময় বাংলার শাসনক্ষমতায় বামফ্রন্ট (Left Front)। বাংলাদেশ থেকে আসা হাজার হাজার উদ্বাস্তু সুন্দরবনের এই দ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো পুলিশি অভিযানে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের গুলিতে বহু উদ্বাস্তুর মৃত্যু হয়। সরকারের এমন ‘অত্যাচারী’ ভূমিকায় চারপাশে শোরগোল ওঠে। বিতর্ক, আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। তবে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিল।

মরিচঝাঁপির এই রক্তাক্ত, লজ্জার ইতিহাসের তদন্ত চাই। এই দাবিতে মরিচঝাঁপি অভিযানে নামছে বিজেপি। ৩১ তারিখ রাজ্যের প্রতি জেলায় এ নিয়ে আন্দোলনে সরব হতে চলেছে বিজেপির তফসিলি মোর্চা। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ”সেই ইতিহাস যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভুলে না যায়, তার জন্য আমরা ফের তা সামনে আনতে চাইছি। এটা আমাদের মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান।” বিজেপির পরিকল্পনা, তৎকালীন মরিচঝাঁপির উদ্বাস্তুরা যেখানে বসবাস করেন, তাঁদের অবস্থান খুঁজে কেন্দ্রীয় সরকারি সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়া।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Cpim, #BJP West Bengal, #Marichjhapi, #tmc

আরো দেখুন