ঊর্ধ্বমুখী করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা, নিরুত্তাপ মোদী সরকার
দেশে করোনা পরিসংখ্যানের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত। গত বেশ কয়েকদিন ধরে লাগাতার দৈনিক আক্রান্তে নিম্নমুখী যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল তা বজায় থাকল রবিবারও। সেই সঙ্গে অনেকটা কমল অ্যাকটিভ কেস। এদিন টিকাকরণেও নতুন মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে ভারত। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, দেশের মোট যোগ্য জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই করোনার দুটি করে টিকা (Corona Vaccine) পেয়ে গিয়েছেন। তবে, দৈনিক মৃতের সংখ্যার ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড এদিনও বজায় থাকল।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৮১ জন। যা আগের দিনের থেকে সামান্য হলেও কম। এদিন দেশের পটিজিভিটি রেট সামান্য বেড়ে হয়েছে ১৪.৫০ শতাংশ। সেটাই বেশি চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের অধিকাংশ বড় রাজ্যেই কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, কেরলের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা এখনও চিন্তার। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। সব রাজ্যেই মৃতের সংখ্যাটা ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮৮৯ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অল্প হলেও বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯১ জন।
তবে, এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েকদিন কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৩৭ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার কম। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৯৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৬৫ কোটি ৭০ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা (Corona Vaccine) দেওয়া হয়েছে। যা কিনা দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ বলে এদিন দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এত কম সময়ে এই বিপুল অঙ্কের টিকাকরণকে নজির বলেই মনে করছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও অবশ্য স্বস্তির জায়গা নেই বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO বলছে, সবরকম সতর্কতা না অবলম্বন করলে, ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ।