বড় ভাঙন শুভেন্দুর গড়ে, নন্দীগ্রামে কয়েকশো বিজেপি নেতা-কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে
এবার ভাঙন ধরল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে। এখানের বিজেপি সংগঠনে বড়সড় ভাঙন দেখা দিল! রবিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিলেন নন্দীগ্রামের গেরুয়া শিবিরের কয়েকশো নেতা–কর্মী।
আর তাতেই শুভেন্দুর গড় আর থাকল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রবিবাসরীয় দিনে দফায় দফায় চলে দলবদলের পালা। রাজ্যে বিরোধী দলনেতা তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার গড়ে এভাবে ভাঙন ধরায় অস্বস্তিতে পদ্ম–শিবির।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, দলের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আবেদন করেছিলেন তাঁরা। সেই আবেদনে সিলমোহর পড়ায় এই যোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড়ে বিজেপিতে (BJP) ভাঙন! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ (Join) দিলেন শতাধিক কর্মী।
যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর দাস। তাঁর সঙ্গে শতাধিক বিজেপি কর্মীর তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে দাবি।
বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে কাজ করেছিলেন শঙ্কর দাস।
নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান সভা ঘিরে তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি তাদের কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের দাবি খারিজ করে দিয়েছে।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ‘বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেনি। তাই বিজেপির ওই কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন’।
যোগদানকারীদের একজন বলেছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়া ঐতিহাসিক ভুল ছিল। এখানে আন্দোলনকারী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। ভুল করে চলে গিয়েছিলাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই ভুল হবে না। এই গোকুলনগর পঞ্চায়েতেই তৃণমূল ফের জিতবে।
এখানে শুভেন্দু অধিকারী দলের পুরোনা কর্মীদের সম্মান দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এমনকী ফোন করলে ফোন ধরেন না। দাদার অনুগামীরাই এখানে সর্বেসর্বা হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাই আর এখানে থেকে মানুষের কাজ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
আজকের এই দলের পুরনো কার্যকর্তারা এবং স্থানীয় নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও তাতে আমল দিতে নারাজ বিজেপি। যদিও এই দলবদল শুভেন্দুর কাছে বড় সেটব্যাক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।