আলিপুর জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনি ফুটিয়ে তুলবেন শিল্পীরা, উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
আলিপুর জেলে ‘ফ্রিডম মিউজিয়াম’-এর দেওয়ালে এবার স্বাধীনতার লড়াইয়ের আলেখ্য ফুটে উঠবে বাংলার শিল্পীদের তুলিতে। এমনই পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, কয়েক মাসের মধ্যেই এই ‘ফ্রিডম মিউজিয়াম’টির (Freedom Museum) উদ্বোধন করা হবে। এখন শেষ দফার কাজ চলছে।
বারুইপুরে স্থানান্তরিত হয়েছে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার (Alipur Central Jail)। সেখানেই গড়ে উঠতে চলেছে এই ফ্রিডম মিউজিয়াম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, প্রস্তুতির কাজ কেমন চলছে, তা দেখতে যাবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসুরা। থাকবেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। যাবেন শিল্পী শুভাপ্রসন্নও। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ সকলকে সম্মান জানিয়ে অনেক কিছু করা হচ্ছে। তেমনই জেলে একটা ফ্রিডম মিউজিয়াম তৈরি করছি। এই মিউজিয়ামের কাজ চলছে। মাস খানেকের মধ্যে উদ্বোধন করে দিতে পারব। তার আগে মুখ্যসচিবেবর নেতৃত্বে গিয়ে দলটি একবার গিয়ে দেখে আসুক যে আর কিছু প্রয়োজন আছে কি না।”
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পরিকল্পনা জানিয়ে বলেছেন, জেলের বাইরের দেওয়াল হেরিটেজ (Heritage) মেনে রঙ করা হয়েছে। সেই দেওয়ালেই স্বাধীনতার লড়াইয়ের কথা ফুটিয়ে তুলবেন বাংলার দশজন শিল্পী। তাঁর বক্তব্য, “অনেক কিছু হযবরল যেন না করে দেয়। যেন একটু সুন্দরভাবে হয়। কারণ লোকে কিন্তু এই মিউজিয়ামটা দেখতে যাবে। আমি চাই যাঁরা পেন্টিং করেন, ফ্রিডম ফাইটের উপরে একদিন তাঁরা পেন্টিং করবেন। আমি নিজেও থাকব।”
জানা গিয়েছে, আলিপুর জেলের এই শিল্পকর্মে যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্নর মতো শিল্পীরা আঁকবেন। আঁকার (Painting) জন্য নির্দিষ্টভাবে জায়গা করা থাকবে। শিল্পীদের রঙ, তুলির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, “দেওয়ালটিতে অয়েল পেন্টিং ও ফ্লুরোসেন্ট কালারে আঁকা হোক। কারণ, ফ্লুরোসেন্ট কালারে হলে এটা জ্বলজ্বল করবে।”