চাঙ্গা হচ্ছে ফুলের বাজার, দৈনিক বিক্রি ৩ লক্ষ ছাড়াল
মঙ্গলবার থেকে করোনা বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় ব্যবসা প্রাণ পেয়েছে বলে জানান ফুল ব্যবসায়ীরা। বাজারের হাল ফেরানোর জন্য তাঁরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Authored By:

করোনার জের কাটিয়ে ফের ছোটা শুরু করল কলকাতার জগন্নাথ ঘাট ফুল বাজার। গত ১০ দিনে শহরের বৃহত্তম এই পাইকারি ফুলবাজারে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার বেচাকেনা হচ্ছে। গত দেড় মাস মাত্র ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি হচ্ছিল। সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক মঙ্গলবার বলেন, এই সময় ফুলের চাহিদা থাকায় রাজ্য জুড়ে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন। করোনার কারণে ব্যবসা ভাল হচ্ছিল না। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন সকলে।
মঙ্গলবার থেকে করোনা বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় ব্যবসা প্রাণ পেয়েছে বলে জানান ফুল ব্যবসায়ীরা। বাজারের হাল ফেরানোর জন্য তাঁরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুল বাজার নিয়ে যে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। ফুল ব্যবসায়ীদের একাংশ এদিন জানান, বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। বিধি-নিষেধ শিথিল হওয়ায় কেনাবেচার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে তাঁদের আশা। ফুল ব্যবসায়ী সমিতির কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে গণপরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। তার অনেকটা মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফুল বাজারের বিক্রি ধীরে ধীরে আরও বৃদ্ধি পাবে। জগন্নাথ ঘাটের ফুল ব্যবসায়ী দেবু কর্মকার বলেন, গত একমাসে নিষেধাজ্ঞার ফলে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুল নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। তার উপর ফুলের দাম চড়া থাকায় ব্যবসায়ীদের লাভ হচ্ছিল না। ঠাকুরনগরের ফুল চাষি গোপাল কাপাস বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার ফলে বিক্রি বেড়েছে। দমদম গোরাবাজারের খুচরো ফুল ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ দাস বলেন, করোনার সময় ক্ষতি হয়েছিল ব্যবসার। দিনকয়েক হল পাইকারি বাজার থেকে ফুল কিনে বাজারে বিক্রি করে লাভ হচ্ছে।