শুধু মমতার অনুমোদনের অপেক্ষা, প্রস্তুত ১০৮টি পুরসভার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা
২৭ ফেব্রুয়ারিই বাকি ১০৮ পুরসভার ভোট। বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ১০৮ টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর দু’দিনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরই তালিকা প্রকাশ করবেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, বেশিরভাগ জেলার ক্ষেত্রেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে দু-একটি ক্ষেত্রে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি নেতৃত্ব। তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিধায়কদের তরফ থেকে একটি তালিকা পেশ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিধায়করা কথা বলেছেন ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে। তাঁদের পরামর্শ ও আলোচনার ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়েছে। অন্যদিকে, জেলা নেতৃত্বের তরফেও একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। দুই তালিকার তুলমূল্য বিচার করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে একাধিক প্রত্যাশী রয়েছেন। সেই ওয়ার্ডগুলির প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত হননি। দ্রুত আলোচনার ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করে ফেলবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তেমনটাই সূত্রের খবর। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরই দুদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে প্রার্থী তালিকা নিয়ে যাতে কারোর মধ্যে কোনও অসন্তোষ তৈরি না হয়, দল যে একটাই, প্রতীক যে কেবল ঘাসফুল-তা আগেই কর্মীদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিমো। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে বুধবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, “দল একটাই – তৃণমূল। মাথায় থাকবে? দল ছাড়া কিছু নেই। দল একটাই – তৃণমূল, চিহ্নটা জোড়াফুল।” ১০৮ পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে নেত্রী এই বার্তা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ১০৮টি পুরসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৯ ফেব্রুয়ারি। স্ক্রুটিনি ১০ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ তারিখ ফেব্রুয়ারি। সাউথ দমদমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বাদ দিয়ে হবে নির্বাচন। তবে এখনও পর্যন্ত গণনার দিন জানায়নি কমিশন।
খোলা জায়গায় মিটিংয়ে জমায়েতের ক্ষেত্রেও এবার ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২৫০ জনের পরিবর্তে ৫০০ জন করা হচ্ছে। অডিটোরিয়ামে ২০০ লোক।