রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আদি-নব্য ভারসাম্য বজায় রেখেই আজ পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের

February 4, 2022 | 2 min read

নতুন আর পুরনোর ভারসাম্য রেখে তৈরি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের পুরভোটের প্রার্থী তালিকা। দলের অন্দর মহল থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। জানা গিয়েছে, নতুন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা নেতৃত্ব অনুভব করছে। কারণ পুরনো কাউন্সিলারদের অনেকেই নিজেকে ‘প্রতিষ্ঠান’ বলে ভাবতে শুরু করেছেন। এই প্রবণতায় রাশ টানতে চায় নেতৃত্ব।

স্থানীয় সমীক্ষাতেও পুরনো কাউন্সিলারদের একাংশের উপর আম জনতার ক্ষোভের কথা উঠে এসেছে। আবার অনেক জায়গাতে পুরনো কাউন্সিলারদের একাংশের জনপ্রিয়তাও সমীক্ষকদের নজরে এসেছে। তাই সব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই হুগলির ১২টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে দল। প্রসঙ্গত, চন্দননগর পুরসভায় ভোট প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি সেখানে নির্বাচন হবে।

হুগলির ডানকুনি থেকে জিটি রোড ধরে বাঁশবেড়িয়া পর্যন্ত একের পর পর এক পুরসভা আছে। তারকেশ্বর ও আরামবাগ কিছুটা বিচ্ছিন্ন। কিন্তু প্রার্থী তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই নীতি সর্বত্র কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন পুরসভা এলাকার নেতারা প্রার্থী নিয়ে নানা ধরনের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই দলের কাছে জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের নিজস্ব সমীক্ষক দলের প্রস্তাবও দলের কাছে জমা পড়েছে। স্থানীয় স্তর থেকে যে সব তালিকা জমা পড়েছে, তাতে অনেক ক্ষেত্রেই গোষ্ঠী রাজনীতির ছাপ স্পষ্ট। স্থানীয় স্তরে জনপ্রিয় হলেও ক্ষমতাসীন নেতার অপছন্দের লোক হওয়ায় নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। চুঁচুড়া থেকে রিষড়া, সর্বত্রই এই সমস্যা প্রবল। ফলে নেতৃত্বকে সব বিষয় যাচাই করে নিতে হচ্ছে। অন্যদিকে, নতুন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বের সমীক্ষক দলের মতামতের উপরে। দলের একটি প্রভাবশালী মহল থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৬০ শতাংশ পুরনো ও ৪০ শতাংশ নতুন প্রার্থী নিয়ে পুরসভা ভোটে নামার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতির নিরিখে কোনও কোনও ক্ষেত্রে তার পরিবর্তন হতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, স্থানীয় স্তর থেকে মতামত নেওয়া হবে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রার্থী হওয়ার আগে পর্যন্ত মতান্তর থাকতে পারে। কিন্তু দল যাঁকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবে, তাঁকে সবাইকে মানতে হবে।

ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখে হুগলির ১২টি পুরসভায় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট কমিশন ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থীপদ নিয়ে স্থানীয় থেকে রাজ্যস্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজরে রাখা হচ্ছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া এবং ভারসাম্যের উপরে। সেকারণেই নতুন ও পুরনোর মেলবন্ধনের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #tmc, #Municipal corporation

আরো দেখুন