রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বঙ্গ বিজেপিকে তুলে দিতে চাইছেন, বিস্ফোরক অভিযোগ জয়প্রকাশের

February 4, 2022 | < 1 min read

জেলায় জেলায় অবহেলিত বঙ্গ বিজেপির আদি নেতা-কর্মীরা। পুরনো লোকেদের সরিয়ে দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের পদ দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার এই অভিযোগ করলেন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর কথায়, দলকে শক্তিশালী করার বদলে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন কয়েকজন। এর ফলে লাভবান হচ্ছে তৃণমূল।


জয়প্রকাশ বলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পার্টির ভালো করার চেষ্টা করছেন, নাকি পার্টিকে তুলে দিয়ে তৃণমূলকে সাহায্য করছেন এনিয়ে প্রচুর সন্দেহ, প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। জেলায় জেলায়, মণ্ডলে মণ্ডলে প্রকৃত কার্যকর্তারা এই প্রশ্ন তুলছেন। এই ৪-৫ জন রাজ্য বিজেপিকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। কাজের লোকদের বাদ দিয়ে, কাছের লোকদের নিয়ে সংগঠন চালাচ্ছেন। এদের উদ্দেশ্য বিজেপিকে কমজোরী করে তৃণমূলকে শক্তিশালী করা।

সাসপেন্ড হওয়ার পরই সাংবাদিক বৈঠকেও বঙ্গ বিজেপিকে একহাত নিয়েছিলেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) অভিজ্ঞতা খুবই কম। মাত্র ২ বছর তাঁরা রাজনীতি করছেন। ‘আদি বিজেপি’ নেতা জয়প্রকাশের অভিযোগ, সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কাচের ঘরে বসে রাজনীতি করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। সংগঠন বা দলের বিষয়ে এদের কোনও ভাবনাচিন্তা নেই।

জয়প্রকাশের অভিযোগ ছিল, বিজেপির ৪২টা সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি জেলার সভাপতিদের জেলার লোকেরা চেনেনই না। তাঁরা কীভাবে সংগঠন চালাবেন? সাধারণ কর্মীদের একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বুথ, মণ্ডল, জেলাস্তরে লড়াই করে যারা সংগঠন গড়ে তুলেছেন, তাঁদের ব্রাত্য করে বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়া হল চাটার্ড ফ্লাইটে করে দিল্লি গিয়ে দলে যোগ দেওয়া নেতাদের! এই ভাবে অন্য দল থেকে লোক এনে পুরনো বিজেপি নেতাদের গুরুত্বহীন করা ঠিক হয়নি৷

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Amitava Chakraborty, #Jayprakash Majumdar, #bjp, #Bengal BJP

আরো দেখুন