প্রাথমিক সংস্করণের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক ওমিক্রনের নয়া রূপ, এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়?
দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন নিয়ে প্রথম থেকেই চিন্তা ছিল বিশেষজ্ঞদের। এ বার তা আরও বাড়িয়ে তুলল ওমিক্রনের ‘নয়া’রূপ। চিকিৎসকদেরবক্তব্য, ওমিক্রনের সাম্প্রতিকতম রূপটি প্রাথমিক সংস্করণের চেয়ে আরও অনেক বেশি সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-জানিয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৫৭টি দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের এই নতুন রূপটি।
কয়েক সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছিল। তারপর তা দ্রুতগতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ডেল্টাকে সরিয়ে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন ‘ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট’হয়ে উঠেছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই ওমিক্রনের নয়া রূপ ‘বিএ.১২’-এর সংক্রমণ ক্ষমতা ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপের চেয়েও বেশি।
ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি গবেষণায় উঠে এসেছে,আগে যদি কেউ মৃদু উপসর্গ নিয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তিনিও ওমিক্রনের এই নয়া রূপে ফের আক্রান্ত হতে পারেন।
ওমিক্রনের এই নয়া পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফলাফল ‘নেগেটিভ’আসছে। অথচ আদতে হয়তো সেই ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত এবং সব কয়েকটি উপসর্গ মৃদু হলেও বর্তমান।
এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়?
অতিমারি বিশেষজ্ঞদের মতে, উপসর্গ দেখা দিলে সেগুলি এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে। যদি র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল ‘নেগেটিভ’ আসে, তাহলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি আরটিপিসিআর পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। ফলাফল এসে পৌঁছনো পর্যন্ত অতি অবশ্যই নিভৃতবাসে থাকা উচিত।
অ্যান্টিজেন বা আরটিপিসিআরের বিকল্প কোনও পরীক্ষা করা যেতে পেরে?
র্যাপিড অ্যান্টিজেন বা আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফলাফল যদি ‘নেগেটিভ’ আসে, সেক্ষেত্রে এর বিকল্প হতে পারে পিসিআর পদ্ধতি। যার পুরো নাম ‘পলিমেরাজ চেন রিয়্যাকশন’। ওমিক্রন শনাক্তকরণের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একটি পরীক্ষা হতে পারে এটি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।