ঐতিহাসিক হাজারতম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারাল ভারত
নেতৃত্বের চাপ তিনি আগেও সামলেছেন। সেই চাপের ছাপ পড়েনি তাঁর ব্যাটিংয়ে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারিয়ে ফুলটাইম ক্যাপ্টেন হিসেবে দলে যোগ দিয়ে সেই চেনা ছন্দের রোহিত শর্মাকেই দেখতে পেলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যিনি অধিনায়কত্বের সফর শুধু করলেন একেবারে একপেশে জয় দিয়ে। আর সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, ব্যাট হাতেও হিটম্যানকে রোখা কঠিন।
সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের দিন তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েই ঐতিহাসিক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন রোহিত শর্মারা। আর ঘরের মাটিতে পোলার্ড বাহিনীর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করে হোম ফেভারিটরা।
এদিন টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত (Rohit Sharma)। তবে ঝোড়ো বোলিংয়ে একের পর এক ব্যাটসম্যান ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। দলের হাল ধরেন জ্যাসন হোল্ডার (৫৭)। অ্যালেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অষ্টম উইকেটে ৭৯ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেড়শোর গণ্ডি পার করান হোল্ডার। তবে পেস ও স্পিন দৌরাত্ম্যে স্কোরবোর্ডে বড় রানে পৌঁছতে পারলেন না ক্যারিবিয়ানরা। ৪৯ রান দিয়ে চারটি উইকেট একাই তুলে নেন চাহাল। তিনটি উইকেট পান সুন্দর। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ২টি ও মহম্মদ সিরাজ একটি উইকেট তুলে নেন।
ব্যাট হাতে আবার ঈশান কিষানের সঙ্গে ওপেন করে দুর্দান্ত ৬০ রান করে দলের ভিত মজবুত করে দেন ক্যাপ্টেন রোহিত। ওপেনার হিসেবে এদিন সুযোগ পেয়ে ঈশান করেন ২৮ রান। তবে এদিন ফের ব্যর্থ বিরাট কোহলি। কিছুতেই যেন রানে ফিরতে পারছেন না তিনি। লং লেগে ফিল্ডার থাকা সত্ত্বেও হুক মেরে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কোহলি। ঝুলিতে তখন মাত্র আটটি রান। ফলে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে যে ফের কাঁটাছেড়া হবে, তা বলাই বাহুল্য। এদিন অবশ্য হতাশ করলেন ঋষভ পন্থও (১১)। তিনি আউট হলে ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব (৩৪*) এবং দীপক হুডা (২৬*)।
করোনা আবহে সিরিজের তিনটি ওয়ানডেই হবে আহমেদাবাদে। যেখানে আজ ১-০-য় এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে রোহিতের অনুপস্থিতিতে ওয়ানডে সিরিজ হারতে হয়েছিল ভারতকে। পোলার্ডদের হোয়াইটওয়াশ করে সেই ক্ষতেই মলম দিতে মরিয়া রোহিত অ্যান্ড কোং।