প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ মিটে যাবে শীঘ্রই, মনে করছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব
এটা আসলে কর্মীদের মান-অভিমানের পালা। রাস্তায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে কর্মীদের বিক্ষোভ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এভাবেই বিষয়টিকে হাল্কা করার চেষ্টা করল। রাজ্যের ১০৭টির পাশাপাশি উলুবেড়িয়ার ৩২টি ওয়ার্ডের জন্যও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। আর তারপরেই কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। যদিও তৃণমূল হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি বিধায়ক অরুণাভ সেনের দাবি, এখন কর্মীদের মান অভিমানের পালা চলছে। ওসব কিছু নয়। শীঘ্রই সব মিটে যাবে। পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানোর জন্য কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন।
গত পুরসভা নির্বাচনে পুরসভার ১৯টি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীরা জিতেছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের ৩, সিপিএমের ১ এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন কাউন্সিলার যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা হয় ২৪। লোকসভা নির্বাচনে ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে পদ্মফুল এবং ১৬টিতে এগিয়ে ছিল ঘাসফুল। এরপর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এগিয়ে যায় ১৮টি ওয়ার্ডে। বিজেপি ১৩টি ওয়ার্ডে এবং আইএসএফ ১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। পরিসংখ্যান বলছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে উলুবেড়িয়ার ১, ২, ৬, ৭, ৯, ১১, ১২, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ২২, ২৩, ২৫, ২৭, ২৮, ৩১ এবং ৩২ নং ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে ছিল ৩, ৪, ৫, ৮, ১০, ১৩, ১৬, ১৯, ২০, ২১, ২৬, ২৯ এবং ৩০ নং ওয়ার্ডে। ২৪ নং ওয়ার্ডে এগিয়ে যায় আইএসএফ। এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই পিছিয়ে থাকা ১৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ নজর দেয় তৃণমূল। পিছিয়ে থাকার কারণ অনুসন্ধান করার পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে জোর দেয় নেতৃত্ব। জয় নিশ্চিত করার জন্য ১৩ জন প্রাক্তন কাউন্সিলারকে সরিয়ে নতুনদের সূযোগ দিয়েছে তারা। দলের হাওড়া গ্রামীণ জেলার চেয়ারম্যান বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেছেন, আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম, এমন ওয়ার্ডগুলির বাসিন্দারা এখন হাত কামড়াচ্ছেন। তাঁরা বুঝতে পারছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়ে তাঁরা ভুল করেছিলেন। এই পুরসভা নির্বাচনে আর সেই ভুল করতে চান না তাঁরা। তাই ৩২টি ওয়ার্ডেই তৃণমূলের জয় সম্পর্কে আমরা আশাবাদী, দাবি সমীরবাবুর।
এদিকে, পদ্মফুল শিবিরের কর্মীরাও এই লড়াইয়ে ‘অলআউট’ ঝাঁপাবেন বলে জানান বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি অরুণ উদয় পালচৌধুরী।