রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ৫টি নতুন ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রায় আট কোটি টাকা খরচ হবে।

February 7, 2022 | 2 min read

Authored By:

Drishti Bhongi Drishti Bhongi

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে পাঁচটি নতুন আঞ্চলিক রক্ত সঞ্চালন কেন্দ্র বা রিজিওনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার (আরবিটিসি)। প্রতিটির অধীনে থাকবে অজস্র ছোট ও মাঝারি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক। ১৩ বছর বাদে বাংলা পেতে চলেছে এতগুলি আরবিটিসি। নতুন আরবিটিসিগুলি হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার ও নদীয়ায়। এই পাঁচটি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ককে (ব্লাড সেন্টার) আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এই অর্থবর্ষের মধ্যেই আরবিটিসিতে উন্নীত করা হবে। চালু হবে রক্তের পৃথকীকরণের সাতটি নতুন কেন্দ্র। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রায় আট কোটি টাকা খরচ হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে।


এগুলি চালু হলে রাজ্যে আঞ্চলিক রক্ত সঞ্চালন কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হবে ১৩। এখন রয়েছে আটটি। তার মধ্যে কলকাতায় পাঁচটি, বাকি তিনটি জেলায়। কলকাতার পাঁচটি হল সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন আর এস, আর জি কর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ আরবিটিসি। জেলার তিনটি হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, বর্তমানে রক্ত পরিষেবায় কিছুটা পিছিয়ে আছে উত্তরবঙ্গ। সেখানে রয়েছে মাত্র একটি আরবিটিসি। বাকি সাতটিই রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কোচবিহার ও মালদহে বড় ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি হবে। এখানেই শেষ নয়, রক্ত যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য এখন ৯০ শতাংশ সংগৃহীত রক্তের উপাদান যেমন প্লাজমা, প্যাকড সেল ইত্যাদি আলাদা করা হয়। এই কাজের জন্য প্রয়োজন ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট (বিসিএসইউ) তৈরি করা। এর মাধ্যমেই রক্তের উপাদানের পৃথকীকরণ সম্ভব।


সিপিএম জমানার শেষ লগ্নে রাজ্যে ছিল ন’টি বিসিএসইউ। মমতার ‌জমানায় রক্তের পৃথকীকরণ ব্যবস্থা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আরও ২৪টি জায়গায়। মোট বিসিএসইউ-এর সংখ্যা এখন ৩৩। প্রথম ধাপে ৯টি থেকে ১১টি বাড়িয়ে ২০টি কেন্দ্র করা হয়। পরের ধাপে আরও ১৩টি যুক্ত করা হয়। শীঘ্রই চালু হবে আরও সাতটি রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ কেন্দ্র। সেগুলি হল ঝাড়গ্রাম, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মালে। এর ফলে বিসিএসইউ-এর সংখ্যা বেড়ে হবে ৪০। 


সূত্রের খবর, এমনভাবে পৃথকীকরণ ইউনিটের নেটওয়ার্ক রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে রক্ত বা তার উপাদানের সঙ্কট তৈরি না হয়। এক পদস্থ স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, বারাসত, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সহ বহু জায়গায় বিসিএসইউ চালু হয়ে গিয়েছে। আরবিটিসি, বিসিএসইউ সব মিলিয়ে গত ১১ বছরে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৫৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৭। এখন প্রতি মহকুমাতেই রয়েছে একটি করে ব্লাড ব্যাঙ্ক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen