দেশে কমছে কোভিড সংক্রমণ, তবে ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুহার বাড়াচ্ছে উদ্বেগ
দেশে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণের হার ক্রমশ কমছে। নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেট, অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। তবে এখনও চিন্তায় রাখছে মৃত্যুর ঊর্ধ্বমুখী হার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৬৭ হাজার ৫৯৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১৮৮ জনের। সোমবারও এই সংখ্যা ছিল ৯০০-র কাছাকাছি। একদিনে লাফিয়ে বাড়ল প্রাণহানির সংখ্যা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের (COVID-19) কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ৮০ ৪৫৬ জন দেশবাসী, দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। এই হার স্বস্তিদায়ক হলেও অস্বস্তির কাঁটা বিঁধে রয়েছে মৃত্যুহারে। এই নিয়ে দেশে করোনার বলি মোট ৫ লক্ষ ২ হাজার ৮৭৪ জন। নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপট কিছুটা কমলেও ঠিক কীসের প্রভাবে এত প্রাণহানি, তা নিয়ে নতুন করে মাথাব্যথা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তবে কি অন্য কোনও প্রাণঘাতী স্ট্রেন হানা দিল? উত্তর খুঁজছেন চিকিৎসকরা।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে এই মুহূর্তে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৯,৯৪,৮৯১, যা মোট আক্রান্তের তুলনায় ২.৩৫ শতাংশ। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৫.০২ শতাংশ। মহামারীর বিরুদ্ধে লডা়ইয়ে টিকাকরণে (Corona vaccination) জোর দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম বুলেটিন অনুযায়ী, ইতিমধ্য়ে ১৭০ কোটির বেশি দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পূর্ণ। বয়স্কদের বুস্টার ডোজ (Booster Dose) এবং ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে।
এই মুহূর্তে আরও একটা টিকা এসেছে ভারতের হাতে। রাশিয়ার ভ্য়াকসিন স্পুটনিক লাইটের (Sputnik light) সিঙ্গল ডোজে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড, স্পুটনিক ভি ছাড়াও সিঙ্গল ডোজের এই টিকাও এবার পাবেন দেশবাসী। সবমিলিয়ে, করোনাযুদ্ধে বর্ম আরও শক্তপোক্ত করা হলেও প্রাণহানির বিষয়টি উদ্বেগে রাখছে সকলকেই।