সংক্রমণ ঠেকাতে ফের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেন মমতা
গত একসপ্তাহে প্রতিদিনই রাজ্যে রেকর্ড হারে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ার কারণেই এই হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি, এমনটাই মনে করছিলেন অনেকে। এই পরিস্থিতি কার্যত স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করলেন তিনি।
৩০ জুন পর্যন্ত গোটা দেশে পঞ্চম দফার লকডাউন জারি রয়েছে। তবে এ রাজ্যের ক্ষেত্রে তা ছিল ১৫ জুন পর্যন্ত। এর মাঝে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ও দেওয়া হয়েছিল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল জনজীবন। প্রায় আড়াই মাস পর অফিসমুখো হয়েছিলেন চাকুরিজীবিরা। কিন্তু আনলক ওয়ানের শুরু থেকেই প্রতিদিনই লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যা আতঙ্ক বাড়িয়েছে মানুষের। এই হারে সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে রাজ্যের ঢিলেঢালা মনোভাবকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে ফের লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, ৩০ জুন অবধি রাজ্যে জারি থাকবে লকডাউন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “গণপরিহণ চালু হয়েছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরবর্তীতে আরও বেশি হারে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই প্রত্যেকে সচেতন হন। নিয়মাবলি মেনে চলুন।”
এছাড়াও আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্মীয় সভা, বিয়ে বাড়ি অথবা যেকোনও অনুষ্ঠানে ১০ জনের পরিবর্তে ২৫ জন পর্যন্ত জমায়েত করতে পারবেন বলে জানালেন তিনি। পাশাপাশি, কলকাতা ও শহরতলির রাস্তায় বাই সাইকেল চালানোয় অনুমতি দিল রাজ্য। যাঁরা সাইকেল নিয়ে কর্মস্থলে যাবেন তাঁরা যেন সাবধানে প্যাডেল করেন সেই পরামর্শও দেন মমতা। প্রসঙ্গত, এর আগে শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের রেস্তরাঁ-শপিংমল খুলেছে। বাস-অটোর সংখ্যাও রাস্তায় বেশি। চেনা ছন্দে শহর থেকে শহরতলি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টাই বাড়াচ্ছে ঝুঁকি, এমনটাই মনে করছে আমজনতা।