দুই দশক পর সল্টলেক পুরভোটে ইস্যু নয় সিন্ডিকেট, নেপথ্যে মমতার কড়া অবস্থান
২০০০ সালের শুরুর দিকে সল্টলেক এবং রাজারহাট-নিউটাউন এলাকায় বাম সরকারের আমলে সিন্ডিকেটগুলি প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। তখন আইটি এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলি সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। তারপর বছরের পর বছর ধরে রিয়েল এস্টেট এবং অবকাঠামো প্রকল্প সহ বড় নির্মাণ কাজে চলতে থাকে সিন্ডিকেট আনুগত্য।

রাজারহাট নিউটাউনে প্রায় দুদশক ধরে চলা সিন্ডিকেট রাজ ২০২২ সালের পুরভোটে কোনও ইস্যুই নয়। এই অসাধ্য সাধন হল কীভাবে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর পেছনে কাজ করেছে বেশ কিছু বিষয়। এর মূল কারণ হল সিন্ডিকেট সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে শাসক দলের কড়া অবস্থান। রাজ্যের শাসক দল শক্ত হাতে দমন করেছে বাংলার চিরাচরিত সিন্ডিকেট সংস্কৃতি।
যিনি একসময় সল্টলেকের সিন্ডিকেট রাজের কথা বলেছিলেন, সেই সব্যসাচী দত্ত-ও বিজেপিতে দুবছর কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরার পর নিজে মুখে স্বীকার করেছেন যে এখন আর সল্টলেকে সিন্ডিকেটের কোন অস্তিত্ব নেই।
২০০০ সালের শুরুর দিকে সল্টলেক এবং রাজারহাট-নিউটাউন এলাকায় বাম সরকারের আমলে সিন্ডিকেটগুলি প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। তখন আইটি এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলি সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। তারপর বছরের পর বছর ধরে রিয়েল এস্টেট এবং অবকাঠামো প্রকল্প সহ বড় নির্মাণ কাজে চলতে থাকে সিন্ডিকেট আনুগত্য। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থান ও জীবিকার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় রাজনৈতিক হাতে।
এমনকি ২০১৫ সালের পুর নির্বাচন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও অশান্তির জন্য সিন্ডিকেটের মাথাদের দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল। এখন সেই সিন্ডিকেট সমস্যাই নিয়ন্ত্রণ করেছে রাজ্যের শাসক দল। সল্টলেকের বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও স্বীকার করে নিয়েছেন কোথাও কোন সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব নেই।