স্বস্তিতে নির্বাচন কমিশন, আদালত অবমাননার মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে
৪ পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দিতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, আদালত অবমাননা করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৩ সপ্তাহ ভোট পিছিয়েছে কমিশন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ৪-৬ সপ্তাহ ভোট পিছোনোর। এরপরই আদালত অবমাননার মামলা করেন জনস্বার্থ মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্য। কিন্তু আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
অতিমারী আবহে (Corona Pandemic) চার পুরনিগমের নির্বাচন করা অতি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই পিছিয়ে দেওয়া হোক শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরনিগমের ভোট। এই আবেদন জানিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলাতেই আদালত বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই পরামর্শ অনুযায়ী তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয় ভোট। অবশেষে সেই ভোট হতে চলেছে ১২ ফেব্রুয়ারি।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ফের সেই মামলাকারী আবেদন করে বলেন,আদালত অবমাননা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ কিন্তু সেই অভিযোগে আমোল দিল না হাইকোর্ট। খারিজ হয়ে গেল আদালত অবমাননার মামলা।
শিলিগুড়ি, বিধাননগর, চন্দননগর এবং আসানসোল পুরনিগমে ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি৷ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচাপতির ডিভিশন বেঞ্চ সংবিধানের ২৪৩-এর (জেড এ) ধারা তুলে ধরে স্পষ্ট করে দেয়, রাজ্যে স্থানীয় ভোট পিছনোর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী রাজ্য নির্বাচন কমিশনই৷ পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই দাবি করা হয়েছে, যথাযথ কোভিড বিধি মেনেই নির্বাচনের আয়োজন সম্ভব৷ যদিও মামলাকারীদের তরফে বার বারই রাজ্যের সার্বিক কোভিড পরিস্থিতি এবং গোটা দেশের মধ্যে রাজ্যের সংক্রমণের হার কী অবস্থায় রয়েছে, তা তুলে ধরা হয়৷ কিন্তু শেষমেশ আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে স্বস্তিই দিল কলকাতা হাইকোর্ট।