আজ টেডি দিবস, কীভাবে জন্ম হল টেডি বিয়ারের

ভালবাসার উষ্ণতা বাড়াতে টেডি হিট!

February 10, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আজ টেডি দিবস। প্রেমিক যুগলদের মধ্যে আদুরে ভালোবাসা প্রকাশের প্রতীকী উপহার হল টেডি বিয়ার। এই উপহারের মধ্যে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা মিশে থাকে। ভালোবাসা সপ্তাহের চতুর্থ দিনে পালিত হয় টেডি ডে। মানভঞ্জন থেকে মনহরণ টেডির চাহিদা গগনচুম্বী।

কীভাবে জন্ম হল টেডি বিয়ারের?

সময়টা ১৯০২ সাল, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের তখনও ঢের বাকি। মিসিসিপি এবং লুসিয়ানিয়ার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে জর্জরিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট। মন ভাল করতে শিকার যাত্রা করলেন রুজভেল্ট। নভেম্বর মাস, মিসিসিপি চষে ফেলেও জুটলো না শিকার! শিকার প্রিয় রুজভেল্টের আরও মন খারাপ হয়ে গেল। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন খারাপ বলে কথা। মোগাম্বো থুড়ি রুজভেল্টকে খুশ করতে, তার চ্যালা চামুন্ডারা লুসিয়ানিয়া কালো ভল্লুকের এক ছোট্ট ছানাকে ধরে আনলেন। গাছের গুঁড়িতে বেঁধে রাখা ভল্লুক ছানার উপর গুলি চালাতে রুজভেল্টের মন চায়নি। ছোট্ট ছানাটিকে ছেড়ে দিলেন রুজভেল্ট।

তারপর কী হল?

ওয়াশিংটন স্টার কার্টুনিস্ট ক্লিফর্ড বেরিম্যান তার ‘ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই গল্প তুলে ধরলেন। বেরিম্যান আঁকলেন রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রুজভেল্ট, আর তার পিছনে পুঁচকে এক ভল্লুক ছানা দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই কার্টুন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ব্রুকলিনের খেলনার দোকানের মালিক মরিস মিচম। মাথায় খেলে গেল এক ফন্দি! বানিয়ে ফেলেন মিষ্টি এক টেডি বেয়ার। কিন্তু একদম প্রাথমিক পর্বে, টেডি বিক্রির কোন উদ্দেশ্য ছিল না তার। খেলনার দোকানের জানলার পাশে সাজিয়ে রাখলেন টেডি। পাশেই রাখলেন বেরিম্যানের আঁকা কার্টুন। খুদে ক্রেতারা তার দোকানে ঢুকেই অন্য খেলনার বদলে টেডি কিনতে চান, এইভাবেই জন্ম হয় টেডি বেয়ারের। ১৯০৩ সালে তৈরি হয় আইডিয়াল টয় কোম্পানি। আর আজ পৃথিবীর প্রতি প্রান্তে প্রতিটি বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয় হয়ে উঠেছে টেডি।

ভালবাসার উষ্ণতা বাড়াতে টেডি হিট! তাই আজ প্রিয়জনকে একটা টেডি দিয়েই ফেলুন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen