লকডাউনে রেকর্ড, ৪১ লক্ষ টন ধান কিনল রাজ্য
এতটা যে সম্ভব হবে, তা খাদ্য দপ্তরের শীর্ষকর্তারাও ভাবতে পারেননি। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও চলতি খরিফ মরশুমে রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ ধান কেনা হল। খরিফ মরশুম শেষ হতে এখনও চার মাসের বেশি বাকি। গত খরিফ মরশুমে যেখানে মোট ধান কেনা হয়েছিল প্রায় ৩৯ লক্ষ টন, সেখানে চলতি বছর ইতিমধ্যেই কৃষকদের কাছ থেকে ৪১ লক্ষ টনের বেশি ধান কিনেছে সরকার। খাদ্য দপ্তর সূত্রে বলা হচ্ছে, অতীতে সরকারি উদ্যোগে এত বেশি পরিমাণ ধান কখনই কেনা হয়নি। শুধু মে মাসে কেনা হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টন ধান।
খাদ্য দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, লকডাউন না থাকলে হয়তো কৃষকরা সরকারের কাছে এত বেশি ধান বিক্রি করতেন না। করোনা সংক্রমণের জন্য গ্রামবাসীরা এখন খুব সতর্ক। বাইরের লোকদের গ্ৰামে ঢুকতেই দিতে চাইছেন না। ফলে যে ব্যবসায়ী বা ফড়েরা গ্রামে কৃষকের ঘরে এসে ধান কিনে নিয়ে যেতেন, তাঁরা অনেকেই আসতে পারছেন না। এদিকে কৃষকদের টাকার প্রয়োজন। তাই সরকারের কাছে ধান বিক্রি করার আগ্ৰহ অনেক বেড়ে গিয়েছে। খোলাবাজারের তুলনায় সরকার নির্ধারিত মূল্য বেশি হওয়ার জন্য আর্থিক লাভও হচ্ছে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতেই বেশিরভাগ ধান কেনা হচ্ছে। এগুলি মূলত কিষাণ মান্ডিতে চলে। এগুলির অধিকাংশ গ্রামের বসতি এলাকার বাইরেও। তাছাড়া খাদ্য দপ্তর ধান কেনার জন্য অস্থায়ী শিবির খুলছে। করোনা সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অস্থায়ী শিবিরগুলিও খোলা হচ্ছে গ্রামের বাইরে। খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যেভাবে চলছে তাতে জুন মাসের মধ্যেই ৪৬ লক্ষ টন ধান কেনা হয়ে যেতে পারে। এর থেকে বেশি পরিমাণ ধান কিনতে গেলে ফের সরকারের বিশেষ অনুমোদন নিতে হবে। কারণ রাজ্য মন্ত্রিসভা আগেই খরিফ মরশুমে সর্বাধিক ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার অনুমোদন দিয়েছিল।