কালীঘাটে মমতা-অভিষেক বৈঠক! বিকেলে কী বার্তা দেবেন নেত্রী?
তৃণমূলে গৃহ-বিদ্রোহ! একাধিক ইস্যুতে ক্রমশ অভিষেক-মমতা বেড়েছে দূরত্ব। বিশেষ করে তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। এই অবস্থায় আজ শনিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল পাঁচ টা থেকে এই বৈঠক শুরু হবে।
আর এই বৈঠকের আগেই অভিষেকের সঙ্গে একেবারে একান্ত একটি বৈঠকে বসে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, একেবারে সবার নজর এড়িয়ে গোপনে এই বৈঠক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যে মত পার্থক্য তৈরি হয়েছিল তা মিটিয়ে নেওয়ার জন্যেই এই বৈঠক ডাকেন মমতা। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে বসার আগেই আলোচনা সারতে অভিষেককে ডাকেন পিসি মমতা। প্রায় ঘন্টাখানেক দুজনের মধ্যে কথা হয়।
তৃণমূল সুত্রে খবর, এই ঘন্টাখানেকের বৈঠকে পিসি-ভাইপোর মধ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা মিটে গিয়েছে বলেও খবর। তবে কিছু ক্ষেত্রে আরও বিস্তারিত আলোচনা চলবে বলেই তৃণমূল সুত্রে জানা যাচ্ছে। এমনকি এক ব্যক্তি এক পদ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সোশ্যাল ক্যাম্পেন সহ একাধিক বিষয়েও অভিষেককে নেত্রী সাবধান করেন বলেও জানা যাচ্ছে।
এমনকি প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা নিয়েও মমতা এবং অভিষেকের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সুত্রের খবর।
অন্যদিকে বিকেল পাঁচটা থেকে জরুরি বৈঠক শুরু হবে। সেখানে ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থতি থাকবেন। সেই বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই পিসি-ভাইপোর মধ্যে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য বলেন, তাঁদের দলের সমস্যা এখানে কিছু বলার নেই। তবে প্রাইভেট কোম্পানিতে এমন সমস্যা হতেই পারে। যদিও এক তৃণমূল নেতার মতে, আগে নিজেদের দলের মধ্যে বিদ্রোহ সামলান। এরপর তৃণমূলের হয়ে কথা বলবেন। ওই নেতার মতে, আমাদেরর দলে নিয়ম রয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব। সুতরাং সব সমস্যা মিটে যাবে বলেও আশা তাঁর।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাত করেই পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এক ব্যক্তি এক পদের হয়ে সওয়াল করতে থাকেন অভিষেক ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা। যদিও পালটা ক্যাম্পেন শুরু করেছে তৃণমূলের আরও একটি অংশ। সেখানে বলা হচ্ছে, দিদিই শেষ কথা বলবে।