নক্ষত্রপতন, প্রয়াত বাজাজ গোষ্ঠীর কর্ণধার রাহুল বাজাজ
বিশিষ্ট শিল্পপতি তথা প্রখ্যাত বাজাজ গোষ্ঠীর কর্ণধার রাহুল বাজাজ প্রয়াত। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বাজাজ পরিবারের এই কৃতি সন্তান, ১৯৩৮ সালের ৩০শে জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাহুলের পিতামহ যমুনালাল বাজাজ ছিলেন বাজাজ গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। তারপরে তার পিতা বাজাজ গোষ্ঠীর দায়ভার সামলান।
১৯৫৮ সালে রাহুল সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে স্নাতক হন এবং বোম্বে ইউনিভার্সিটি থেকে আইনে ডিগ্রি অর্জন করেন। হারভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ-ও পাশ করেন রাহুল বাজাজ (Rahul Bajaj)। ১৯৬৮ সালে রাহুল বাজাজ অটো-র সিইও পদে আসীন হন। বাবার মৃত্যুর পরে ১৯৭২ সালে তিনি বাজাজ অটোমোবাইলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে বসেন।
গত শতকের শেষার্ধে বাজাজ স্কুটার নিয়ে এসে দেশে দু-চাকার শিল্পে কার্যত বিল্পব ঘটিয়েছিলেন রাহুল বাজাজ। আশির দশকে মানুষের মুখে মুখে ঘুরত হামারা বাজাজ। ১৯৮৬ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলায়েন্সের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন রাহুল বাজাজ। ২০০৮ সালে বাজাজ অটোকে তিনি ভাগে ভাগ করে দেন। তারপরে বাজাজ ফিনসার্ভ ব্যাপকভাবে সফল হয়।
২০০১ সালে রাহুল বাজাজ পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। ২০০৬ সালে মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন রাহুল বাজাজ।
বিশিষ্ট শিল্পপতি রাহুল বাজাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, “বিশিষ্ট শিল্পপতি রাহুল বাজাজের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ পুনেয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বাজাজ গ্রুপের চেয়ারম্যান এমিরেটাস রাহুল বাজাজ দেশের শিল্পের প্রসারে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। তিনি ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান পেয়েছিলেন। তাঁর প্রয়াণে শিল্প ও বাণিজ্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। দেশের আর্থিক স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তিনি নিজেও সেই নির্ভীকতার ঐতিহ্যবাহী ছিলেন। আমি রাহুল বাজাজের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”