এখন সাজে চাই স্বাস্থ্য সচেতনতা
লকডাউন শেষের পথে। শুরু হয়েছে আনলক ওয়ান। আগামী সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে অনেক অফিস। কেমন পোশাক পরবেন, কী ধরনের ব্যাগ নেবেন, জুয়েলারি পরা উচিত হবে কিনা – এমন নানা সংশয় মনে জাগছে।
এই সময়ে শাড়ি না পরে চুড়িদার কামিজ, কুর্তা লেগিংস, স্ট্রেট পালাজো কুর্তা অফিসে পরা যেতে পারে। খুব ঘের দেওয়া সালোয়ার কামিজ ওড়না না পরাই ভালো। কারণ পোশাক যত ফ্লেয়ারি হবে, তত ড্রপলেটস লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই শাড়িটা অ্যাভয়েড করতে বলছি। ছ’ মিটারের শাড়ি – কুঁচি, আঁচলের কোথায় ড্রপলেটস লেগে যাবে, বোঝাও যাবে না।
যাঁরা অফিসওয়ারে রোজ শাড়ি পরেন, তাঁরা এমন শাড়ি বাছবেন, যা বাড়ি ফিরেই সাবান জলে ভিজিয়ে রাখলে নষ্ট হবে না। গরমের দেশে তো পুরো সিন্থেটিক শাড়ি পরা কষ্টকর। তাই সিন্থেটিক মিক্সডকটন শাড়ি পরতে পারেন।
পিওর লেদার ব্যাগ না নিয়ে সিন্থেটিক লেদার লুক ব্যাগ নিন। কাপড়ের ব্যাগও নিতে পারেন। এই সময়ে যেহেতু বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে হবে, তাই হ্যান্ড ব্যাগ না নিয়ে শোল্ডার ব্যাগ নিন। আর একটা উপায়ও আছে। কামিজ বা কুর্তিতে বড় পকেট তৈরি করিয়ে নিলে ছোটো পার্স, মোবাইল, চাবি, দরকারি কাগজ নিয়ে বেরনো যায়।
বড় ঝোলানো ইয়ার রিংস, আংটি, হাতের চওড়া গয়না পরবেন না। ঘড়িও দরকার নেই। কারণ করোনার ড্রপলেটস কোন সারফেসে কতক্ষণ বেঁচে থাকে, তা এখনও গবেষণার পর্যায়ে। কানে ছোট্ট স্টাড পরুন। গলায় বড় নেকপিস পরলে ফিরে প্লাস্টিক প্যাকেটে ভরে রাখবেন। চার পাঁচ দিন ওটা আর পরবেন না। দেখবেন, ছোটদের হাতে যেন না যায়।
এই সময় চপ্পল নয়, পা ঢাকা জুতো পরুন। রোজ জুতো না পাল্টে ব্ল্যাক বা বেজ জুতো পরুন, যা সব পোশাকে মানানসই। জুতো নির্দিষ্ট জায়গায় খুলুন। জুতো রাখার জায়গা ঢাকা হলে ভালো। জুতো খুলেই বাড়ির চপ্পল পরবেন না। স্নানের সময় পায়ের নীচের দিকটা ঘষে ঘষে ধোবেন, তারপর বাড়ির চটি পরবেন।