রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শান্তিপূর্ণ হয়েছে পুরভোট, দরকার নেই পুনর্নির্বাচনের, জানাল কমিশন

February 13, 2022 | 2 min read

বিরোধীদের দাবি খারিজ। চার পুরনিগমের (West Bengal Municipal Election 2022) ভোটে দু-একটি বিক্ষিপ্ত বাদে কোনও অশান্তিই হয়নি। স্ক্রুটিনিতে মেলেনি কোনও গরমিল, জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার ফলে পুনর্নির্বাচনের আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোটের ফল বেরবে ১৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

চার পুরনিগমের ভোটে নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল ৯ হাজার বাহিনী। যার মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার ছিল বুথের দায়িত্বে। বাকি ৫০০ বাহিনী ছিল কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিংয়ের জন্য। তা সত্ত্বেও বিরোধীরা অভিযোগ করেছে ভুয়ো ভোটারের। বিরোধীরা অবশ্য প্রতিবারের মতো এবারও চারটি পুরনিগমেই ভোট লুঠের দাবিতে সরব হয়েছে। শিলিগুড়ি বাদ দিয়ে বিধাননগর, চন্দননগর ও আসানসোলে ভোটের নামে শাসকদল প্রহসন করেছে ও গণতন্ত্রের সমাধি হয়েছে বলে অভিযোগ প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (BJP)।

সব ওয়ার্ডে আবার ভোটের দাবি তুলে মূলত বিধাননগরের ভোট নিয়ে কোর্টে যাওয়ারও জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রহসনের প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সমস্ত জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। অন্য দুই বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেসের তরফেও ভোট লুঠ ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, আসানসোল ও বিধাননগরে তৃণমূল দুষ্কৃতী বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে।

যদিও নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission) স্পষ্টতই জানিয়েছে, সব অভিযোগ সত্যি ছিল না। কমিশনের কথায়, “কয়েকটি ভুয়ো অভিযোগও এসেছে।” কমিশন সূত্রে খবর, আসানসোলে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় ধৃত ৩২ জন। নির্বাচনের কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চার পুরনিগমের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পড়ে শিলিগুড়িতে। চার পুরনিগম মিলিয়ে গড়ে ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৫ সালে চার পুরনিগমেই এর চেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল। সেবার বিধাননগর ও চন্দননগরে ৭৭.৮০, আসানসোলে ৭৬.৪৯ ও শিলিগুড়িতে ৭৭.৫০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার পুরো প্রক্রিয়ার শেষে ভোটের হার আর খুব একটা বাড়েনি। কোন পুরসভায় কারা শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসে, সেদিকেই নজর সকলের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Municipal Election, #State Election Commission

আরো দেখুন