বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

ফোরামে ডামাডোল, টলিউডে বন্ধ শুটিং

June 10, 2020 | 2 min read

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইন্দ্রাণী হালদার, দিতিপ্রিয়া রায়রা বেশ উদ্দীপ্ত ছিলেন। বুধবার শুটিং করতে যাবেন বলে। দিতিপ্রিয়ার কথা ছিল, ‘শুটিং শুরু করব। তবে নিয়মাবলীর খুঁটিনাটি জানতে চাই।’ ইন্দ্রাণী বলছিলেন, ‘স্যানিটাইজার, ওয়াশেবল মাস্ক নিয়েছি। যাতে মাস্কে মেকআপ লাগলেও ধুয়ে ফেলা যায়। ইলেকট্রিক কেটল কিনে নিয়েছি। শুটিংয়ে বারবার গরম জল খাব।’

কোথায় কী? রাত এগারোটা নাগাদ যা হল, তাতে টলিপাড়া জুড়ে আবার অন্ধকার আর অন্ধকার। আর্টিস্ট ফোরামের সভার পরও মনে হচ্ছিল, ইন্দ্রাণীরা শুটিং করতে পারবেন। দিতিপ্রিয়ারা করতে পারবেন না। কোনও পরিচালক-প্রযোজক ফোরামকে মানছিলেন। কেউ মানছিলেন না। তবে পরের দিকে প্রযোজকরা পাল্টা কড়া বিবৃতি দেওয়ার পর তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে টলিপাড়া।

টলিউডে বন্ধ শুটিং

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভা ডেকে ফোরামের কর্তারা বলেছিলেন, ‘শিল্পীদের স্বাস্থ্য ও বিমা সংক্রান্ত বিষয়ে চ্যানেল ও প্রযোজকরা পূর্ণ আশ্বাস দিতে পারেননি। তাই অভিনেতাদের শুটিংয়ে যোগদানের পরামর্শ দিতে পারব না।’ এর কিছুক্ষণ পরে বেশি রাতে প্রযোজকরা পাল্টা বিবৃতিতে বলেন, ‘চ্যানেল, ফেডারেশন, প্রযোজকরা সহযোগিতা করলেও আর্টিস্টস ফোরামের ইচ্ছাকৃত আপত্তিতে কাল থেকে শুট করতে পারছি না। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, যতদিন দেশে করোনা পরিস্থিতি থাকবে, ততদিন আমরা শুট করব না।’

প্রশ্ন উঠল, দু’দিন আগে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনে সব পক্ষ শর্ত মেনে বুধবার শুটিং শুরু করার বলা হলেও ফোরাম উল্টোপথে হাঁটল কেন? অভিনেতাদের অনেকেই বলছেন, প্রসেনজিতের অনুপস্থিতিতে ফোরামে ডামাডোল শুরু হয়ে গিয়েছে। কার্যকরী প্রেসিডেন্ট শঙ্কর চক্রবর্তী ঝামেলা সামলাতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গে দেবদূত ঘোষ আছেন। এঁরা বামপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ফলে রাজনীতি বড় হয়ে দেখা দেয় সভায়। টানাপোড়েনের মধ্যে সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনেরও কিছু অভিযোগ ছিল। ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সদস্যদের নিয়েই কেন শুটিং করতে হবে, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে টলিউডে। চাপ, পাল্টা চাপের খেলায় লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন আপাতত স্তব্ধ।

তথ্যসূত্র: ভাস্বতী ঘোষ

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#shooting, #Tollywood

আরো দেখুন