তিন পুরসভার মেয়র কারা? আজ ঘোষণা করবেন মমতা
তৃণমূল কংগ্রেসের নবগঠিত জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক আজ, শুক্রবার। সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে কালীঘাটে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কর্মসমিতির ১৯ জন সদস্য। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁদের উপস্থিতিতেই দলের সর্বভারতীয় এবং রাজ্য কমিটির পদাধিকারীদের নাম চূড়ান্ত করবেন সুপ্রিমো। দলের শাখা সংগঠনগুলিতে বেশ কিছু রদবদল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ওই বৈঠকেই নির্ধারিত হবে বিধাননগর, চন্দননগর এবং আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র সহ অন্যান্য পদাধিকারীদের নাম। চার পুরসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনই শিলিগুড়ির মেয়র হিসেবে গৌতম দেবের নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বাকি পুরসভাগুলির বিষয়ে কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান। সেই মতোই তিনি আজ আলোচনায় বসতে চলেছেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নেত্রীর বাসভবনে বসেছিল এক জরুরি বৈঠকে। সেখানেই তৃণমূলের অন্য সব পদের অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেন মমতা। পরিবর্তে গঠিত হয় ২০ সদস্যের জাতীয় কর্মসমিতি।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। এই পর্বে দলীয় প্রার্থীদের ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্দলরা। দলে থেকেও তাঁরা আলাদাভাবে ভোট ময়দানে লড়ছেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত তৃণমূল। ইতিমধ্যেই উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত জেলাস্তরে এহেন ব্যক্তিদের পার্টি থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি জেলায় নির্দলদের বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার চরম বার্তা এল তৃণমূল সুপ্রিমোর তরফে। দলের রাজ্য মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘নেত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে (আজ, শুক্রবার রাত) লিখিতভাবে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে বা লিফলেট ছড়িয়ে নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে আসতে হবে নির্দলদের। দলীয় প্রার্থীর হয়ে নামতে হবে প্রচারে। অন্যথায় বহিষ্কার করা হবে।’ সুপ্রিমোর কড়া অবস্থানকে সামনে রেখেই এদিন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে মাথায় রেখে একটি নজরদারি সেল গঠন করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল। জানানো হয়েছে, জেলায় নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা মোট ৫৭। তার মধ্যে ২৮ জনই প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে চলেছেন। যে বা যাঁরা তা করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে শনিবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।