মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অর্থমন্ত্রকের বিপরীত রিপোর্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের
অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। উৎপাদন, পরিষেবা, নির্মাণ, পরিকাঠামো সেক্টর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আগামী অর্থবর্ষ থেকে আবার কোভিডপূর্ব পরিস্থিতিতে ফিরবে। সামগ্রিক কর্মসংস্থানও বাড়ছে। অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে এরকম প্রতিটি বিষয়েই প্রত্যাশিতভাবেই একমত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু একটি বিষয় ছাড়া। মূল্যবৃদ্ধি। অর্থমন্ত্রকের রিভিউ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাসিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি তথা মুদ্রাস্ফীতির হারকে গুরুত্বই দেয়নি অর্থমন্ত্রক। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিন্তু তাতে একমত নয়। বরং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, আপাতত কমছে না মুদ্রাস্ফীতির হার। উল্লেখ্য, আগেও একই কথা বলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
জানা গিয়েছে, রিপোর্টে জানুয়ারি মাসের মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছিল। সেকথা মনে করিয়েই সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক জানাল, যে কারণে জানুয়ারিতে মূল্যবৃদ্ধি অনেক বেশি ছিল, সেই কারণগুলি এখনও রয়েছে। তাই আগামী কয়েকমাস মূল্যবৃদ্ধি একই থাকবে। তাছাড়া এবার আর্থিক বর্ষের শেষে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ থেকে যাবে। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অর্থমন্ত্রকের উভয়পক্ষের কাছেই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশের নীচে থাকাই কাম্য। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মাসিক রিপোর্টে বলেছে সাড়ে ৪ শতাংশ হবে মুদ্রাস্ফীতির হার আগামী আর্থিক বছরের শেষে। অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চে যে অর্থবর্ষ সমাপ্ত হচ্ছে সেই সময় সাড়ে ৪ শতাংশ হতে পারে। তার আগে নয়। তবে অবশেষে রেপো রেট বদলের একটি আভাস দিয়েছে এই রিপোর্ট। আগামী এপ্রিল মাসের নীতিনির্ধারণ কমিটির বৈঠকে রেপো রেট কমতে পারে। যা অর্থনীতির কাছে সুসংবাদ হবে। তবে মূল্যবৃদ্ধির এই ভ্রুকুটি ছাড়া অর্থনীতির বাকি সেক্টরগুলি নিয়ে অর্থমন্ত্রকের সুরেই আশাবাদী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষিক্ষেত্রে দেড় শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি হচ্ছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৭০০ লক্ষ হেক্টর ফসল উৎপাদন হয়েছে, যা রেকর্ড।