দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ব্যাপক চাহিদা হস্ত/রন্ধনশিল্পীদের, খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের
দুয়ারের সরকারের শিবিরকে ব্যবহার করা হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সহায়তায়। তৃতীয় দফার দুয়ারে সরকার শিবিরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্টল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দুইদিনে সেখান থেকেই লক্ষাধিক টাকার জিনিস বিক্রি হয়ে গেল। হস্তশিল্প আর রন্ধনশিল্পের মাধ্যমে বাজিমাত করলেন হাওড়ার বিভিন্ন ব্লকের মহিলারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি দফার দুয়ারে সরকার শিবিরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সুযোগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা আগেই করেছিল প্রশাসন। ঠিক হয়, বিভিন্ন হস্তশিল্প বা গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি জিনিস বিক্রির স্টল তৈরি হবে। সেই মতো প্রথম দুইদিনে জেলার ১৪টি ব্লক, বালি, উলুবেড়িয়া এবং হাওড়া পুরসভা এলাকায় মোট ৪৬টি শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন ১৫৭টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা। তাঁরা একপ্রকার অসাধ্য সাধন করেছেন। হিসেব বলছে, প্রথম দু’দিনে বেচাকেনা হয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৭৬ টাকার। কী কী ছিল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্টলে? উদয়নারায়ণপুর হারালি মহিলা সঙ্ঘ সমবায় উন্নয়নের রুমা মণ্ডল, মিনতি মণ্ডল, রিয়া ধারারা নিয়ে এসেছিলেন নিজেদের হাতে বানানো শাড়ি, পাটের ব্যাগ, টুপি। আবার ডোমজুড়ের মহিয়ারী ১ এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রিঙ্কু মান্না, সুপ্রিয়া অধিকারীরা রান্না করা খাবার হাজির করেছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। বাগনান ১ ব্লকের আলো নামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এনেছিলেন জ্যাম-জেলি। প্রত্যেকটি স্টলেই ছিল ভালো ভিড়। প্রশংসনীয় বিক্রির হারও। ফলে দু’দিনেই ব্যবসার পরিমাণ দেড় লক্ষ টাকা ছুঁই ছুঁই। এ বিষয়ে হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, হাওড়া জেলার মহিলারা অসাধ্য সাধন করেছেন। আনন্দধারা প্রকল্পের ‘সৃষ্টিশ্রী’ ও ‘রান্নাঘর’ স্টলগুলি থেকে এই বিপুল অঙ্কের বিক্রি হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় দফার ক্যাম্প থেকে ২১৩.২৫ লক্ষ টাকার ঋণের আবেদনের ৯৫টি দরখাস্ত পেয়েছি। যার মধ্যে ১৮টি তৎক্ষণাৎ যাচাই করে ৫৪ লক্ষ টাকা মঞ্জুরও হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলিতে থাকছে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প, ব্লাড প্রেসার, সুগার ও চক্ষু পরীক্ষার কেন্দ্র। এছাড়াও গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য সচেতনতামূলক প্রচার করার বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে হাওড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। চলতি শিবিরের জন্য একটি স্লোগান নির্বাচন করেছে জেলা প্রশাসন। সেটি হল, ‘একে অপরের ধরে হাত, জেলার মেয়েরা এগিয়ে যাক, আমার আপনার যেমন দরকার, হাওড়া জেলায় দুয়ারে সরকার।’