মহামারীর প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থতার পথে দেশ, দৈনিক মৃত্যু ৫০০-রও কম
মহামারীর প্রকোপ কাটিয়ে অনেকটাই সুস্থতার পথে দেশ। সেই কারণেই রাজ্যগুলির কাছে কোভিড (COVID-19) সংক্রান্ত অতিরিক্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। এই প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার পরদিনই দেখা গিয়েছিল, ফের করোনা (Coronavirus)সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু শুক্রবার কোভিড গ্রাফে ফের উন্নতি দেখা গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে দেশে নতুন করে কোভিড পজিটিভ ২৫,৯২০। মৃত্যু হয়েছে ৪৯২ জনের। দুই পরিসংখ্যানই বৃহস্পতিবারের চেয়ে অনেকটা কম। নিম্নমুখী পজিটিভি রেটও।
শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন ভালভাবে দেখলে বোঝা যাবে, বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫০০০। শতকরা হিসেবে প্রায় ১৬ শতাংশ। হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি নিচে নেমেছে মৃতের সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার পজিটিভিটি রেট ছিল ২.৬১ শতাংশ। আর শুক্রবার তা কমে দাঁড়াল ২.০৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারীর দাপট কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দেশের ৬৬,২৫৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৪ কোটি ১৯ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৩৮। সুস্থতার হার ৯৮.১২ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্য়া মোট ২,৯২,০৯২ জন, যা গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় অনেকটাই কম।
দেশের পাঁচ রাজ্যের কোভিড গ্রাফ নিয়ে এখনও চিন্তা জারি রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের ৬১.২ শতাংশই এই পাঁচ রাজ্যের। কেরল তার মধ্য়ে শীর্ষে। ৩৩.৩৯ শতাংশ পজিটিভ রোগীই কেরলের। এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু। বাংলায় করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী। তা সত্ত্বেও সাবধানতার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জারি রয়েছে কোভিডবিধি। সামনে পুরভোটকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এছাড়া ত্রিপুরায় নতুন করে ওমিক্রন প্রজাতির ভাইরাসে সংক্রমিতের খোঁজ মেলায় আতঙ্ক বাড়ল খানিকটা। এখনও পর্যন্ত উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে ১২০ জন ওমিক্রন আক্রান্ত। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের আশ্বাস, পরিস্থিতি কিছু উদ্বেগজনক নয়।
এখনও পর্যন্ত দেশে করোনার টিকা পেয়েছেন ১৭৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৬১ জন। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদেরও টিকাকরণ চলছে। বিভিন্ন রাজ্যে ছোটদের স্কুল খুলে যাওয়ায় স্কুলেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে, অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে এগিয়ে চলেছে দেশ।
Bengali News Corona Virus COVID-19 India