সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তি প্রচার করা চলবে না, নেতাদের সতর্কবার্তা তৃণমূলের
রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর সেরা মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া৷ মাঠে-ময়দানে নেতারা যতটা না জনপ্রিয় তার চেয়েও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের অনুগামীর সংখ্যা বেশ ঈর্ষণীয়৷ অল্প সময়ের মধ্যে বহু মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় বলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন নবীন-প্রবীণ প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতারা৷ তৃণমূলের কথাই যদি ধরা হয়, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার পপুলার নেতা হিসেবে সবার আগে উঠে আসবে মদন মিত্রের নাম৷ অফলাইনের মতো অনলাইনেও তিনি সমান রঙিন৷ মানুষ তাঁর ফেসবুক লাইভ দেখে আমোদিত হন দর্শকরা৷ কিন্তু সেই সোশ্যাল মিডিয়াই যদি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়ায় তখনই তা বিড়াম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ যে কারণে দলের নেতাদের সতর্ক করে তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে, ভালো কাজের প্রচারে আপত্তি নেই৷ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তি প্রচার নৈব নৈব চ৷
এককথায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নেতাদের অনেক সংযত হতে হবে৷ এমন কিছু কাজ করা বা বলা যাবে না যাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়৷ কিছুদিন আগে ফেসবুক লাইভে এসে দল বিরোধী নানা মন্তব্য করেছিলেন মদন মিত্র৷ দল যে তাঁর ওই ধরনের কাজকর্ম অনুমোদন করে না সেটা আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ সেই প্রেক্ষিতে আরও এককদম এগিয়ে তৃণমূল ঠিক করেছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যক্তি প্রচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না৷
আজ, শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে নবগঠিত জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা বৈঠক করেন৷ সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ অতএব এবার থেকে আগের মতো নিজের খেয়ালখুশি মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারবেন না নেতারা৷ তৃণমূলের নেতাদের পায়ে অনুশাসনের বেড়ি পরিয়ে তাঁদের শৃঙ্খলাপরায়ন করে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত৷