২২ হাজারের ঘরে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, কমল মৃতের সংখ্যাও
ওমিক্রন-সহ করোনার নানা স্ট্রেনের দাপট কাটিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে দেশ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন ১৪ শতাংশ কমল সংক্রমণের হার। স্বস্তি দিয়ে অনেকখানি কমেছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। ফলে বিভিন্ন রাজ্যে শিথিল হচ্ছে কোভিডবিধি। চলছে ছন্দে ফেরার চেষ্টা।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ২৭০ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা ছিল ২৫ হাজারের বেশি। একলাফে অনেকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৩৯। এক শতাংশেও নিচে নেমে গিয়েছে অ্য়াকটিভ কেস (০.৫৯ শতাংশ)। এই মুহূর্তে ভারতে করোনা পজিটিভিটি রেট কমে ১.৮০ শতাংশ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। ওড়িশায় তুলে নেওয়া হয়েছে নাইট কারফিউ। ইন্দোরেও যেমন আর কোনও হটস্পট নেই বলেই জানানো হয়েছে। প্রায় সব রাজ্যেই খুলে গিয়েছে স্কুলও।
বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে (Corona Vaccination) জোর দিয়ে সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হলেও এখনও খানিকটা চিন্তায় রাখছে দেশের মৃত্যুহার। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা কম। ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩২৫ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১১ হাজার ২৩০ জন।
তবে এই উদ্বেগের মাঝেও আশার আলো দেখাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৩৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ২৯৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.২১ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৫ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৩৬ লক্ষের বেশি। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১২ লক্ষের ৩৫ হাজার ৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।