গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার গেরুয়া শিবির, বাংলার পর ত্রিপুরাতেও গৃহদাহ বিজেপির
বাংলার পর এবার ত্রিপুরাতেও বিপাকে বিজেপি। প্রকাশ্যে বিজেপির পুরনো বনাম নতুন দ্বন্দ্ব। এবার ত্রিপুরার বিজেপির প্রদেশ সভাপতির অপসারণের দাবিতে সরব দলীয় নেতার একাংশ। যা ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ত্রিপুরার প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ডাঃ মানিক সাহার অপসারণ চেয়েছে আদি বিজেপি নেতারা। তাঁরা চিঠিও দিয়েছেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতিকে। তাঁকে পদ ছাড়তে বলা হয়েছে। তিন পাতার চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আদি বিজেপি নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য বিজেপিকে শক্তিশালী করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বর্তমান সভাপতি। বিগত এডিসি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। মানিক সাহার নেতৃত্বে আগামিদিনে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আদি নেতারা।
যদিও পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন বর্তমান সভাপতি মানিক সাহা। তাঁর কথায়, “যারা এইসব কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের বাসভবনে দলের বিধায়কদের দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপির আদি নেতৃত্ব। কিছুদিন আগে ক্ষোভপ্রকাশ করে দল ছেড়েছেন দুই বিধায়ক। প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল বহু আগেই। বিজেপি (BJP) শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের একেকটি সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পদত্যাগী বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ। অনেক সময় তিনি ত্রিপুরায় তৃণমূল আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবাদেও সোচ্চার হয়েছিলেন। এভাবেই বোঝাচ্ছিলেন, দলের সঙ্গে বিশেষত বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে। প্রায় একইরকম অবস্থান ছিল দলের আরেক বিধায়ক আশিসকুমার সাহারও। দলের নানা কাজকর্মে তাঁর সায় ছিল না। প্রশাসনিক কাজেও অসন্তোষ বাড়ছিল। অবশেষে সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ রাজ্যপালের কাছে দুই বিধায়কই ইস্তফাপত্র পেশ করেন। পাশাপাশি দলের সদস্যপদও ছেড়ে দেন সুদীপ রায়বর্মন, আশিসকুমার সাহা। এরপরই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। তাতেই বোঝা গিয়েছিল, রাজনৈতিক কেরিয়ারে নতুন পথে হাঁটতে চলেছেন দু’জন।