আনিস তুমি কার? ছাত্রনেতার মৃত্যুতে বিতণ্ডায় পরম-ঐশী
আনিস খানের মৃত্যুকে নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তদন্তের স্বার্থে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আনিসের মৃত্যুকে ঘিরে টুইটারে বাকবিতন্ডায় জড়ালেন চিত্রতারকা পরমব্রত চট্টপাধ্যায় এবং জে এন ইউ-এর ছাত্রনেত্রী ঐশী। টুইটারে তাদের মধ্যে রীতিমতো বাকযুদ্ধের আবহে কয়েক দফা বাক্য বিনিয়ম হয়েছে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আর পাঁচ জনের মতোই ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টপাধ্যায়।নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে তিনি লেখেন, ‘হত্যাকারীরা কোন দলের, নিহত কোন দলের ছিলেন, এইসব যুক্তি তক্কো তথ্য নিষ্প্রয়োজন মনে করছি এক্ষেত্রে, এবং এগুলি নির্বিশেষে আনিস খানের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনার বিচার এবং অপরাধীদের আইনানুগ শাস্তি হওয়া দরকার।’
আনিস খানের মৃত্যুর পরেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বামপন্থীরা। মৃতদেহের রাজনীতি করতে বরাবার বামেদের দেখা যায়। স্বভাবতই এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আনিসকে নিজেদের সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করে পুরভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে সিপিআইএম। বাম সমর্থকেরা টুইটারে পরমব্রত চট্টপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। বাম ছাত্রনেত্রী ঐশী পরমব্রতকে উল্লেখ করে টুইটারে লেখেন, “হত্যাকারীর আর নিহত-র দল টা শুধু বেছে বেছে নিষ্প্রয়োজন কেন হয়ে যায়, এটা বুঝতে পারলাম না। এই ব্যাপারে অপরাধীরা এক রাজনৈতিক দলের লোকজন, তাদের দলের নামটা উচ্চারণ করতে এত সবার দ্বিধা কেন?”
এর ফিরতি উত্তরও দিয়েছেন অভিনেতা। জবাবে পরমব্রত লিখছেন, “ঐশী, হত্যাকারীরা টিএমসি করতো কিনা সেই তরজায় যাতে এরকম একটি নারকীয় কাণ্ডের গুরুত্ত্ব না কমে, যাতে দোষীদের আড়াল না করা যায়, যাতে দলমত নির্বিশেষে এই ঘটনার প্রতিবাদকে স্বাগত জানাতে পারি, এই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু আমার শব্দচয়ন আপনাদের সমর্থকদের একাংশের মনমতো হয়নি।”
এরপরে আরও দু’টি টুইট করেন অভিনেতা। তিনি লেখেন,”তাদের নানান ব্যাখ্যার এবং ‘holier than thou’ সাজার যে খেলা চলছে, তাতে ঢুকলে প্রাক্তন শাসকদলের জমানার প্যান্ডোরার বাক্স ও খুলতে হয়। ক্ষমতা থেকে সরলেই সব গত অপরাধ ধুয়ে যায়, এটাই রাজনীতির রীতি, জানি, তাই সেখানে যেতে চাই নি। কুৎসিত ট্রোলিং সত্ত্বেও সেই সংযম আমার থাকবে।”
দ্বিতীয় টুইটটিতে তিনি লেখেন, “যেকোনো দলের লোকের সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটলে এরকমই প্রতিক্রিয়া হবে আমার। আনিসের চিঠি আমি পড়েছি এবং পুলিশের ভূমিকার চরম নিন্দা করছি। এই ঘটনার বিচার এবং প্রমান হলে চরম শাস্তি প্রয়োজন, তাই অভ্যেসের বিরুদ্ধে গিয়ে এতো কথা লিখছি। গণহত্যাকারীরা ‘আমাদের গর্ব ‘ বলে আস্ফালন করছি না।”