‘রাজ্যপালের পদ নিয়ে মশকরা করছেন’ দলীয় মুখপত্রে ধনখড়কে তোপ তৃণমূলের
নির্বাচিত সরকারের কাজে বাধা দেওয়া, কখনও মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়া প্রস্তাব সামান্য কোনও অজুহাতে ফেরত পাঠানো, বিধানসভার তরফে পাঠানো ফাইলে সই না করা। প্রতি পদে রাজ্য সরকারের কাজে বাধাদান করাটাই যেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankar) কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্তত সরকার পক্ষের সেটাই অভিযোগ। সরকারের কাজে এভাবে বাধা সৃষ্টি করার জন্য বারবার আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে ধনখড়কে। কখনও সরকারি স্তরে, কখনও দলীয় স্তরে। বুধবার ফের একইভাবে তোপের মুখে পড়লেন ধনখড়। তৃণমূলের দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় (Jago Bangla) তীব্র আক্রমণ করা হল রাজ্যপালকে।
দলীয় মুখপত্রে তৃণমূলের (TMC) বক্তব্য, রাজ্যপাল পদে বসার জন্য কোনও যোগ্যতা লাগে না। শুধু দিল্লির গেরুয়া নেতাদের গোমস্তাগিরি করলেই সরকারি বিলাসব্যসনের সুযোগ পাওয়া যায়। এদের চাকরি, রিটায়ারমেন্ট সবটাই নির্ভর করে দিল্লির নেতাদের অনুগ্রহের উপর। সরকারের দেওয়া বিলাসব্যসনের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বলেই জগদীপ ধনখড়ের মতো লোকেরা দিল্লির গোমস্তাগিরি করেন।
বুধবার ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে ধনখড়কে তীব্র কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের সাংবিধানিক পদটাকে মশকরার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। বিজেপির সফল এজেন্ট হিসাবে আগামী দিনে ‘ভারতরত্ন’ (Bharat Ratna) পুরস্কার পেতে পারেন ধনখড়। শাসকদলের আক্রমণ, জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে জিতে আসা সরকারকে দিনের পর দিন মনোনীত এক ব্যক্তি আক্রমণ করে চলেছেন। শুধু সরকারি বিলাসব্যসনের লোভে দিল্লির কিছু মানুষের গোমস্তাগিরি করছেন তিনি।
বস্তুত, রাজ্যপালের উপর শাসকদলের নতুন করে খড়গহস্ত হওয়ার কারণ রাজ্য বিধানসভার (West Bengal Assembly) বাজেট অধিবেশনে ধনখড়ের আপত্তি। আর্থিক মঞ্জুরি সংক্রান্ত রাজ্যের ফাইল ফেরত পাঠিয়ে অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছেন তিনি। রাজ্যপালের এই আচরণ বিরক্তির পর্যায়ে চলে গিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তবে, ঘাসফুল শিবির পালটা কটাক্ষ করে বলছে, রাজ্যপালের মনে রাখা উচিত চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়। অবস্থা বদলাবে, সময় বদলাবে, পরিস্থিতি বদলাবে, চেয়ার বদলাবে, মুখ বদলাবে। তখন ধনখড়ের প্রশ্রয়দাতারা সহ্য করতে পারবেন তো? প্রশ্ন তৃণমূলের।