ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নিঃ আইসিএমআর
দিল্লি ও মুম্বইয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা। কেন্দ্রের উপদেষ্টা তথা নয়াদিল্লি এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া ক’দিন আগে বলেছেন, আগামী ২-৩ মাসে সংক্রমণ শিখরে পৌঁছতে পারে। গুলেরিয়ার কথার সূত্র ধরেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী দু’দিন আগে দাবি করেছেন, ৫০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস বোঝা যাচ্ছে না। অর্থাৎ, গোষ্ঠী সংক্রমণের সব রকম নিদর্শন মজুত, কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআরের অধিকর্তা বলরাম ভার্গব এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট বলে দিলেন, ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি।
কীসের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার এই দাবি? ভারতের শীর্ষ মেডিক্যাল গবেষণা সংস্থার বক্তব্য, তারা করোনা সংক্রমণের পরিধি বুঝতে কনটেনমেন্ট এবং নন-কনটেনমেন্ট—দু’ধরনের জোনেই সেরো সার্ভে চালিয়েছিল। আর তার রিপোর্টই বলছে, ভারতে নন-কনটেনমেন্ট জোনে সংক্রমণের হার মাত্র ০.৭৩ শতাংশ! শহরের বস্তি এলাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি গ্রামাঞ্চলের বস্তির থেকে ১.৮৯ গুণ বেশি আর সাধারণভাবে শহরাঞ্চলে সংক্রমণের ঝুঁকি গ্রামের চেয়ে ১.০৯ গুণ বেশি। প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় সংক্রামিত ও মৃতের হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। করোনায় মৃত্যুর হার মাত্র ০.০৮ শতাংশ। আইসিএমআর অধিকর্তার মতে, এতেই স্পষ্ট, ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। কিন্তু সংক্রমণের হার এতটা কম মানে, বিপুল জনসমষ্টি এখনও সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি।