মুর্শিদাবাদে কৃষককে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিএসএফ
এক কৃষককে পিটিয়ে খুনের পর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ফের কাঠগড়ায় বিএসএফ (BSF)। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের হুকির বাথান এলাকায়।
নিহত বিবেক মণ্ডল, কাহারপাড়া সংলগ্ন লক্ষ্মীনারায়ণপুরের বাসিন্দা। মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) তন্ময় সরকার, ডোমকলের এসডিপিও ফারুক মহম্মদ চৌধুরী, সিআই প্রসূন খাঁ-সহ অনেকে। নিহত কৃষকের কাকা রণিত মণ্ডল বলেন, “রোজকার মতো বৃহস্পতিবার সকালে ভাইপো সীমান্তের হুকির বাথান এলাকায় একানির জমি দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর যাওয়ার কয়েকঘন্টা পরেই খবর পাই ভাইপোর দেহ গাছে ঝুলছে। মাঠের অন্য কৃষকেরা দেখে তাঁকে গাছ থেকে নামায় ও আমাদের খবর দেয়। তারপরেই আমরা পুলিশ ও স্থানীয় কাতলামারী ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাসুদেব সাহা ও কালিনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিঙ্কি মণ্ডলকে জানাই। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে।”
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বিবেকের সঙ্গে কোনও কারণে বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে বচসা হয়েছিল। তার জেরেই বিএসএফ গুলি চালায়। আর এই ঘটনাকেই পরে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদিও বিএসএফের ১১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কৃষক গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অন্যান্যরা একথা বিএসএফ জওয়ানকে জানান। পারিবারিক কোনও সংকটের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই কৃষক। আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।”
এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সুরজিৎ মণ্ডল অবশ্য আত্মহত্যার তত্ত্বেই সায় দেন। ওই কৃষকের পক্ষে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয় বলেই দাবি নিহতের দিদি উষারানি মণ্ডলের।