নির্বাচনী আবহে ‘মন কি বাত’-এর সম্প্রচার তো মোদীর প্রচার – সরব বিরোধী সাংসদ
নির্বাচনী আবহে মোদীর ‘মন কি বাত’-এ রাস টানাতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জহর সরকারের। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। এরই মধ্যে আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি মোদীর মন কি বাত-এর পরবর্তী পর্ব সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। বলাইবাহুল্য সুকৌশলে নির্বাচনের সময়তেই এই নির্ঘন্ট স্থির করা হয়েছে অর্থাৎ দেশের অন্যতম বড় রাজ্যের নির্বাচনের আবহে ফের একবারে মিথ্যাচার ও মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ঝুলি খুলবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এবার নির্বাচনী আবহে মন কি বাত সম্প্রচার নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।
নির্বাচনের সময় মন কি বাত-এর সম্প্রচারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মিথ্যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রচার করার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের কাছে এই মর্মে জহর সরকার একটি চিঠির মাধ্যমে লিখিত আবেদন করেছেন।
চিঠির মাধ্যমে তিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রতি নির্দেশিকা জারি করার অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যে প্রতক্ষ বা পরক্ষ কোনভাবেই যেন মোদীর ব্যক্তি প্রচার বা তার দলের প্রচার না হয়; তাও বিশেষভাবে সুনিশ্চত করার আবেদন করেছেন তৃণমূল সাংসদ। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আচরণ বিধি যাতে প্রকৃত অর্থে বাস্তবায়িত হয় সেই আবেদনও করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী আবহে মন কি বাত-কে নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে বারবার ব্যবহার করে চলেছেন মোদী। এর আগেও ২০১৪ সালে মন কি বাতের উপর এমন অভিযোগ করা হয়েছিল, যদিও নির্বাচন কমিশন কোন নিয়ম লঙ্ঘন না দেখতে পাওয়ায় সেসব অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছিল। ২০১৭ সালেও নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেও ভারতের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক বলপূর্বক নির্বাচন কমিশনের থেকে মন কি বাত সম্প্রচার করার ছাড়পত্র আদায় করে।
এক বেসরকারি সংবাদপত্রকে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, এখনও অবধি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে তিনি কোন উত্তর পাননি। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচন কমিশন এক কলঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ২০২১-এর নির্বাচন তাদের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য মরণ বাঁচনের সমতুল্য। ভারত ও নির্বাচন কমিশনের গরিমা রক্ষা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের আশু ও সদর্থক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’