‘পাশে কেউ নেই’, ন্যাটো নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ওগড়ালেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি
বেজে গিয়েছে যুদ্ধের ডঙ্কা। রাশিয়া (Russia) ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইউক্রেনের (Ukraine) উপরে (Russia-Ukraine Conflict)। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, প্রথম দিনই সেদেশের ৮৩টি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকির গলায় ঝরে পড়েছে অভিমানের সুর। তাঁর দাবি, কৃষ্ণসাগর থেকে আজভ সাগর- দেশের সর্বত্র পুতিনের সেনার দাপাদাপির মাঝেও ন্যাটোর (NATO) নেতারা নীরবই রয়েছেন। সকলেই ‘ভীত’ হয়ে রয়েছেন বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশ হতে চায় ইউক্রেন। কিন্তু কয়েক বছর পরেও এটা পরিষ্কার নয়, শেষ পর্যন্ত তাদের গোষ্ঠীভুক্ত করা হবে কিনা। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জেলেন্সকি জানাচ্ছেন, ”আজ আমি ইউরোপের ২৭ জন নেতার কাছে জানতে চেয়েছি ইউক্রেন ন্যাটোর অন্তর্গত হবে কিনা। আমি সরাসরিই জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু সকলেই এত ভীত হয়ে রয়েছে, কেউ কোনও উত্তর দিতে পারেনি।” তিনি এও জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘একাই রয়ে গিয়েছে’ ইউক্রেন।
ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার এই হামলার আসল কারণ কিন্তু ‘নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন’ই। ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে গঠিত হয় ন্যাটো। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের ১২টি দেশ এর অন্তর্গত হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ৩০টি দেশে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইউক্রেন ২০০৮ সাল থেকে ন্য়াটো গোষ্ঠীর অন্তর্গত হতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই পুতিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে ইউক্রেন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার প্রতিনিধিকে একহাত নিয়ে ইউক্রেনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ”যুদ্ধাপরাধীদের কোনও বিচারই দরকার হয় না। তারা সরাসরি নরকে যাবে।” এদিকে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়ার পরে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ক্রমেই ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি।