রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ইউক্রেনে আটকে পূর্ব মেদিনীপুরের ৪ ডাক্তারি পড়ুয়া

February 26, 2022 | 2 min read

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছে বাংলার বহু মানুষ। এর মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনার মারফৎ বিদেশমন্ত্রকের কাছে তিনজনের খবর পাঠানো হয়েছে। এই তিনজন ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন। সূত্রের দাবি, এই তিনজনের খবর রাজ্য পাওয়ার পর নবান্নের তরফে তা রেসিডেন্ট কমিশনার মারফৎ কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। শনিবার কেন্দ্র সরকারের তরফে দু’টি বিমানে ভারতীয়দের আনা হবে বলে সূত্রের খবর। সেখানে কতজন এ রাজ্যের বাসিন্দা আসছে তার তথ্যও চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রকের কাছ থেকে। নবান্ন সূত্রে খবর, সেই তথ্য এলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেলেমেয়ে ইউক্রেনে পড়াশোনা করতে গিয়েছে। মূলত ডাক্তারি পড়ুয়ার সংখ্যাই বেশি। যেমন নদিয়ার চাপড়া থানার হাতিশালা ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনে মহেশনগরের বাসিন্দা শ্রাবণী মল্লিক। ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে তিনি আটকে পড়েছেন। পরিবারের তরফে খবর শনিবার ভারতমুখী যে বিমান আসবে, তাতেই ফিরবেন তিনি।

অন্যদিকে ইউক্রেনে পড়তে গিয়ে আটকে গিয়েছে মেদিনীপুরের বেলদার মেয়ে অনিন্দিতা মাইতি। কিয়েভ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী অনিন্দিতা। পরিবার সূত্রের খবর, অনিন্দিতা জানিয়েছেন যখনই সাইরেন বাজছে তখনই তাঁকে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেতে হচ্ছে। ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ে কীভাবে দেশে ফিরবে তা ভেবে অনিন্দিতার বাবা অদ্বৈত মাইতি কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এই জেলারই দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের গড় হরিপুরের বাসিন্দা অশোক পাইকের মেয়ে অনন্যা পাইকও আটকে রয়েছে ইউক্রেনে। কিয়েভেই পড়েন তিনিও। তাঁর পরিবারের ছবিটাও একইরকম।

কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের দেওচড়াইয়ের ছেলে মইনুল হোসেন ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন মস্কোতে। দু’ দিন ধরে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে মইনুলের পরিবারকেও। বাবা মায়ের সঙ্গে ফোনে বৃহস্পতিবার কথা হয় তাঁর। তবে শুক্রবার আর কথা হয়নি বলেই জানিয়েছে পরিবার। ছেলের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর পরিবার। এ বছরই পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফেরার কথা। এরইমধ্যে এমন অস্থির পরিস্থিতি। বাড়িতে রান্না বন্ধ। থেকে থেকেই কাঁদছেন মা। গলা দিয়ে ভাত নামছে না বাবা, বাড়ির অন্যদেরও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#East Medinipur, #medical students, #ukraine

আরো দেখুন