আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

ইউক্রেনের পাশে জার্মানি, জেলেনস্কিকে ক্ষেপনাস্ত্র পাঠানোর আশ্বাস বার্লিনের

February 27, 2022 | 2 min read

আমেরিকা কিংবা ন্যাটো সামরিক জোটের দেশগুলি ইউক্রেনে সেনা পাঠায়নি। তবুও অভাবনীয় প্রতিরোধ দেখিয়েছে ইউক্রেন (Ukraine)। দেশের মাটিকে শক্তিশালী রুশ (Russia) বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে লড়াই করছে তারা। এবার তাদের অস্ত্র সাহায্য়ের ঘোষণা করল জার্মানি। জানিয়ে দিল ট্যাঙ্ক-ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ও মাটি থেকে বিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে তারা।

ঠিক কী জানিয়েছে জার্মানি? জার্মান প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ১ হাজারটি ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫০০টি ‘স্ট্রিঙ্গার’ ক্লাস সারফেস-টু এয়ার মিসাইল তারা শিগগিরি ইউক্রেন সেনার কাছে পৌঁছে দেবে।

উল্লেখ্য, এর আগে রুশ হামলার আশঙ্কার মধ্যেই ইউক্রেনকে ৫ হাজার হেলমেট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। পরে শুক্রবার সেগুলি কিয়েভের উদ্দেশে পাঠানোও হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই এই সাহায্য ঘোষণাকে ‘কৌতুক’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কিভের মেয়র। তিনি কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেছিলেন, ”এরপর কি জার্মানি বালিশ পাঠাবে?”

আমেরিকা-সহ ন্যাটো সামরিক জোটের কোনও দেশই সেনা পাঠায়নি ইউক্রেনে। এমনকী, অস্ত্রসাহায্যও করেনি। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন, তাঁরা কোনও অস্ত্র সরবরাহ করবেন না। কিন্তু অবশেষে মত বদলাল জার্মানি।

এদিকে ইউক্রেনকে সমস্ত দিক থেকে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শনিবারই মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইউক্রেনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রাশিয়া। শনিবার আক্রমণের সুর চড়ালেন পুতিন। কিন্তু কেন? রুশ সেনার এক মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ”ইউক্রেন বৈঠকে বসতে রাজি না হওয়ার পরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত দিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলার।”

শুক্রবারই রাজধানী কিভে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনা। গোটা শহর জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। বোমার আঘাতে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে বহুতল। আতঙ্কে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মাটির নিচে মেট্রো স্টেশন কিংবা বাঙ্কে। তবে ইউক্রেন জুড়ে রাশিয়ার সেনার দাপাদাপি সত্ত্বেও এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেননি পুতিন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Missile, #Germany, #ukraine russia conflict

আরো দেখুন