সীমান্ত পার হতে দিতে হচ্ছে ঘুষ, সমস্যায় ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা
‘সব দিক থেকে ঘিরে ফেলো ইউক্রেনকে’, রুশ সেনাকে এমনই নির্দেশ পুতিনের (Vladimir Putin)। আমেরিকা কিংবা ন্যাটো সামরিক জোটের দেশগুলি ইউক্রেনে সেনা পাঠায়নি। তবুও অভাবনীয় প্রতিরোধ দেখিয়েছে ইউক্রেন (Ukraine)। ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে জার্মানি। এমন পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনে আটকে রয়েছে বহু ভারতীয় পড়ুয়া। সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাঁর। অনেকে সীমান্তের কাছেও পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে নাকি আরেক বিপদ। অভিযোগ, ইউক্রেন সীমান্তে ভারতীয় পড়ুয়াদের কাছে ঘুষ চাওয়া হচ্ছে।
শুধু ভারত নয় বিশ্বের নানা দেশ থেকে তরুণ-তরুণীরা ইউক্রেনে পড়াশোনা করতে যান। যুদ্ধের (Russia-Ukraine Conflict) এই আবহে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ভারত-সহ প্রত্যেক দেশই নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনকে মরিয়া। ভারতের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের পোল্যান্ড কিংবা হাঙ্গেরির সীমান্তে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে গাড়ির ব্যবস্থা করে সীমান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন।
শোনা যাচ্ছে, পোল্যান্ড সীমান্তে এসে বিপদে পড়তে হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। প্রায় একশো ভারতীয় সেখানে আটকে রয়েছেন। মাইনাস সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে খাবার, জল ছাড়া নাকি থাকতে হচ্ছে তাঁদের। অভিযোগ, সীমান্তে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা শুধুমাত্র রাশিয়া, পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের বাসিন্দাদেরই নাকি সীমান্ত পার হতে দিচ্ছেন। কিন্তু ভারতীয় পড়ুয়াদের কাছে ঘুষ চাওয়া হচ্ছে।
২০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা) ঘুষ না দিলে সীমান্ত পার হয়ে যাওয়া যাবে না। এমন কথাই নাকি বলছেন ইউক্রেন সীমান্তের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। কোনও কথাই নাকি শুনতে চাইছেন না তাঁরা। কিছু বলতে গেলেই পালটা অভিযোগ করছেন, ভারতীয় দূতাবাসও নাকি তাঁদের কথা শুনছে না। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষকেই সাপোর্ট করেনি ভারত। মনে করা হচ্ছে, তার জেরেই এমন কথা শুনতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আরজি জানিয়েছেন আটকে থাকা পড়ুয়ারা।