নেপাল পুলিশের গুলিতে নিহত ভারতীয় কৃষক! সীমান্তে অশান্তি
মানচিত্র বিতর্কের মধ্যেই অশান্তি বাড়ল ভারত-নেপাল (India-Nepal) সীমান্তে। শুক্রবার ভারতীয় কৃষকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল নেপাল পুলিশের (Nepal Police) বিরুদ্ধে। বিহারে ভারত-নেপাল সীমান্তের সীতামারিতে (Sitamrahi) গুলিতে নিহত হয়েছেন একজন। আহত আরও ২ ভারতীয় নাগরকি। বিহার সেক্টরের সশস্ত্র সীমা বলের (SSB) IG প্রথম এই তথ্য জানিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, নেপালের দিক থেকেই গুলি ছোঁড়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত যুবকের নাম বিকেশ রাই (২৫)। লালবন্দির জনম নগরের বাসিন্দা বিকেশ সীমান্তের কাছে খামারে কাজ করছিলেন, যখন সীমান্তের ওপার থেকে তাঁর শরীরে গুলি লাগে। আহতদের নাম উমেশ রাম ও উদয় ঠাকুর। এরা প্রত্যেকেই কৃষক বলে জানা গেছে। আহতদের সীতামারি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৭ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে নেপালের দিক থেকে।
এর আগে ১৭ মে আকাশে গুলি চালিয়েছিল নেপাল পুলিশ। তবে নেপালের অভিযোগ ছিল, ভারতীয় তরফ থেকে সীমান্ত পার করার চেষ্টা হয়েছিল। তাই সতর্ক করতে আকাশে গুলি চালানো হয়। শুক্রবারের ঘটনার জেরে ভারত-নেপাল সীমান্ত আপাতত উত্তপ্ত। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ভারতীয় পুলিশ ও সশস্ত্র সীমাবলের পদস্থ কর্তারা। আহত ও মৃতের খবর স্বীকার করেছেন পুলিশের অতিরিক্ত DG (সদর) জিতেন্দ্র কুমার।
সীমান্ত বিবাদ! পিছনে চিনা উসকানি?
এর আগে ভারতীয় আপত্তি উড়িয়ে নতুন মানচিত্রে সরকারি সিলমোহরে উদ্যোগী হয়েছে কাঠমাণ্ডু। নেপালের সংসদে পেশ হয়েছে ‘আপডেটেড ম্যাপ বিল।’ যা অনুযায়ী, নতুন মানচিত্রে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। এই তিন এলাকা নিয়ে ভারত-নেপাল বিবাদ দীর্ঘদিনের। নয়াদিল্লির দাবি, উত্তরাখণ্ড রাজ্য়ের পিথোরাগড় জেলার অন্তর্ভুক্ত এই তিনটিই এলাকাই ভারতের অবিচ্ছেদ্য় অঙ্গ। উলটোদিকে ওই অংশ নেপালও নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস মানস সরোবরে যাওয়ার নয়া রাস্তার উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যার তীব্র প্রতিবাদ জানায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) সরকার। এরপরই নতুন মানচিত্র প্রকাশে উদ্যোগী হয় তারা।
কূটনীতিকদের মতে, ভারতীয় আপত্তি উড়িয়ে নেপাল যে সীমান্ত সক্রিয়তা দেখাচ্ছে, তার পিছনে রয়েছে চিনের (China) সমর্থন। মানচিত্র-বিবাদের মধ্যেই সীমান্তে গুলি চালনার ঘটনায় দিল্লি-কাঠমাণ্ডুর উত্তাপ বাড়বে বলেই ধারণা কূটনীতিকদের।