মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করতে মরিয়া বিজেপি, এবার দ্বারস্থ কলকাতা হাইকোর্টের

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি করা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণও করেছে। চলতি সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

February 28, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের দাবিতে এ বার কলকাতা হাইকোর্টে গেল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি অবশ্য একই থাকছে— মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করতে হবে। যা এর আগে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নেননি। বদলে জানিয়ে দিয়েছিলেন, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করা হবে না, কারণ তিনি বিজেপি-তেই আছেন। স্পিকারের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি করা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণও করেছে। চলতি সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের মামলাটি এর আগে সুপ্রিম কোর্টে করেছিল বিজেপি। মুকুল বিজেপি-তেই আছেন জানিয়ে বিধানসভার স্পিকার যে রায় দিয়েছিলেন, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শীর্ষ আদালতে মামলা করেন। কিন্তু গত শুক্রবার শীর্ষ আদালত ওই মামলা প্রত্যাখ্যান করে। পরিবর্তে জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা স্পিকারের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যদি মামলা করতে হয়, তবে শুভেন্দু কলকাতা হাই কোর্টে ওই মামলা করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের সেই পর্যবেক্ষণ মেনে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। হাই কোর্টকে এই মামলার শুনানি শেষ করতে হবে এক মাসের মধ্যে।

উল্লেখ্য, বিধানসভা স্পিকারের অধীনে এ সংক্রান্ত মামলাটি থাকাকালীন মুকুলের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক এখনও বিজেপি-তেই আছেন। পরে স্পিকারও সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় জানিয়ে দেন, ‘‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন করা হয়েছিল, তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তাই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। কারণ উক্ত বিধায়ক বর্তমানে বিজেপি-তেই আছেন।’’ এর পরই সুপ্রিম কোর্টে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করতে চেয়ে আবেদন করেন শুভেন্দু। এমনকি মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও মামলা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen