আবারও ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল বাসমালিকদের
রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে বিভিন্ন বাসমালিক সংগঠনের আলোচনা গড়াল শুক্রবার পর্যন্ত। এ দিন বাসমালিকদের আটটি সংগঠন লকডাউন পূর্ববর্তী সময় ও আনলক-১ পর্বে বাস ও মিনিবাসের দৈনিক আয় এবং যাত্রীসংখ্যার হিসাব দাখিল করে পরিবহণ দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে। কলকাতার জন্য সরাসরি বাসের ভাড়া বাড়ানোর কথা উল্লেখ না করে আয় ও যাত্রীসংখ্যা কতটা কমেছে–তার পরিসংখ্যান দাখিল করে বাকিটা ‘প্রশাসনের বিবেচনা’র উপর ছেড়ে রেখেছেন আট সংগঠনের প্রতিনিধিরা। জেলার ক্ষেত্রে অবশ্য সরাসরি ভাড়া বাড়ানোরই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সমাধান-সূত্র এখনও অধরা।
তবে সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে দফায় দফায় বাসমালিকদের যে সংগঠনগুলো রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে হিসাব দাখিল করল, তার মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। তবে বাসে উঠলেই ১৫ টাকা এবং মিনিবাসে উঠলেই ২০ টাকার যে দাবি শুরুতে বাসমালিকরা করেছিলেন, এই সপ্তাহের দাবিতে তার থেকে কিছুটা সরে এসেছেন তাঁরা। শুক্রবার যে হিসাব দাখিল করা হল, তার প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বর্তমান পরিস্থিতিতে বাসে উঠলে ১২ টাকা এবং মিনিবাসে উঠলে ১৪ টাকা দিয়ে টিকিট কাটলে ক্ষতি অনেকটা পূরণ হবে বলে যুক্তি মালিকদের।
শুক্রবার বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, নর্থ বেঙ্গল প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট কো-আর্ডিনেশন কমিটি, কলকাতা-মেদিনীপুর বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, হাওড়া বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসেসিয়েশন, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি, সিটি সাবার্বান বাস সিন্ডিকেট, হাওড়া ইন্টার রিজিয়ন এক্সপ্রেস বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জয়েন্ট কমিটি অফ বাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা দেখা করেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে। পরে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির পক্ষে রাহুল চট্টোপাধ্যায় ও বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের টিটো সাহা বলেন, ‘যত সিট তত যাত্রী—এই হিসাবে পুরোনো ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয়। আমরা ক্ষতির হিসাব দিয়েছি। বাকিটা প্রশাসনের বিবেচনাধীন।’ বাসমালিকদের অন্য সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রদীরনারায়ণ বসু বলেন, ‘বিভিন্ন সংগঠন নিজের মতো করে হিসাব জমা দিয়েছে। এই হিসাবে খুব ফারাক নেই। এ বার প্রশাসন আমাদের জন্য একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিক, এটাই চাইব।’