কেন্দ্রের নিয়মের মার প্যাঁচে রাজ্যের দেড় লক্ষ বিড়িশ্রমিকের বাড়ির স্বপ্ন থমকে
এই শ্রমিকদের নাম আবাস যোজনায় বিবেচনার জন্য নথিভুক্ত করাও সম্ভব হয়নি।

রাজ্যের প্রায় দেড় লক্ষ বিড়িশ্রমিক নিয়মের মারপ্যাঁচে পড়ে নিজেদের বাড়ি তৈরি করতে পারছেন না। তাঁদের দুরবস্থার মূল কারণ মোদী সরকারের এক ফরমান। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার শ্রমিকের আবেদন গ্রহণই করা যায়নি কেন্দ্রের পোর্টালে ত্রুটির কারণে। আর সাড়ে ৮ হাজার শ্রমিকের বাড়ি দীর্ঘদিন অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে। তবে নিয়মের ফাঁস কাটিয়ে এই গরিব শ্রমিকরা যাতে নিজেদের বাড়ি তৈরি করতে পারেন, সেজন্য সক্রিয় হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আঞ্চলিক ওয়েলফেয়ার কমিশনার এস সম্পৎকুমারকে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিড়িশ্রমিকদের বাড়ি তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে শ্রমমন্ত্রকের একটি নির্দিষ্ট প্রকল্প ছিল। ১৬০ বর্গফুট প্লিন্থ এলাকা সম্পন্ন বাড়ি করতে শ্রমিককে তিন কিস্তিতে মোট দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হতো। প্রথম কিস্তিতে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং পরবর্তীতে যথাক্রমে ৯০ হাজার ও ২২ হাজার ৫০০ টাকা পেতেন আবেদনকারীরা। কিন্তু ২০১৮ সালে চালু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সঙ্গে এই প্রকল্পটি মিশিয়ে দেয় মোদী সরকার। সেইমতো শ্রমিকদের সব আবেদনপত্র আবাস যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিডিও’দের কাছে পাঠানোর নিদান দেওয়া হয়। আর তখনই শুরু হয় জটিলতা। তার জেরে ৮ হাজার ৩০২ জন শ্রমিক দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির টাকা পাননি। প্রথম কিস্তির টাকায় প্লিন্থ পর্যন্ত তৈরি করার পর থমকে তাঁদের বাড়ি।
এছাড়া ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৮৯ জন শ্রমিক আবেদন করলেও পোর্টালে ত্রুটির কারণে সেগুলি কার্যকর করা যায়নি। আবার এই শ্রমিকদের নাম আবাস যোজনায় বিবেচনার জন্য নথিভুক্ত করাও সম্ভব হয়নি।