মোদী সরকারে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ইউক্রেনের ভারতীয় ছাত্রী চাইলেন সনু সুদের সাহায্য
‘গরিবের মসীহা’ বললে ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই যাঁর নাম বলবেন, তিনি আর কেউ নন– সোনু সুদ। যাঁর পরিচয় আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিপদে-আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কুণ্ঠা করেননি কখনও। শুধু গরিব কেন, জীবনের কঠিন সময়ে কত জনের কাছে যে তিনি ‘মুশকিল আসান’ হয়ে উঠেছেন, সে হিসেব নেই। তাঁর কাছে আবেদন নিয়ে যেতে হয় না, বিপন্ন, আর্ত মানুষের পাশে তিনি নিজেই হাজির হন। ভারত থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে বসে সেই সোনু সুদের শরণাপন্ন হলেন এক ভারতীয়। পূজা প্রহরাজ।
এক কথায়, খারকিভে পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের অভিভাবক বলা যায় পূজাকে। কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকা পালন করেন। মঙ্গলবার রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে এক ভারতীয় ছাত্র নিহত হওয়ার পর সোনি সুদের উদ্দেশে টুইট করেন পূজা।
খারকিভে গোলাবর্ষণের উল্লেখ করে পূজা লেখেন, খাবার কিনতে সুপার মার্কেটের লাইনে দাঁড়ানো ভারতীয় ছাত্র শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌদারের অকস্মাত্ মৃত্যুর কথা। ক্ষোভ প্রকাশ করে সোনু সুদের উদ্দেশে পূজা লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের আবেদন শুনছেন না। আপনি কি কোনও উপায়ে আমাদের উদ্ধার করতে পারেন? প্লিজ হেলপ, পরিস্থিতি খুব গুরুতর। পূজার এই টুইটেই স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা ভারতের বিদেশমন্ত্রক নয়, সোনু সুদেই তাঁরা ভরসা করছেন।
মঙ্গলবার সকালে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে নিহত হন ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়া, কর্নাটকের বাসিন্দা নবীন শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌদার। সুপার মার্কেটে খাবার কিনতে গিয়ে, আর ফেরা হয়নি নবীনের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রাণ হারানো নবীনই প্রথম ভারতীয় ছাত্র। প্রায় আট হাজার ভারতীয় ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন। এর একটা বড় অংশই পড়ুয়া।