যত নষ্টের মূল মার্কিনমুলুক, পুতিনের পাশে দাঁড়িয়ে মত মস্কোবাসীর
যুদ্ধের ইস্যুতে পুতিনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তার দেশবাসী। পুতিনকে সমর্থন করে আমেরিকাকেই দোষী সাবস্ত করছেন মস্কোবাসী। স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে রাশিয়াবাসী। যুদ্ধের লেশমাত্র প্রভাব নেই সেখানে। রাশিয়া হল ইউরোপের সবচেয়ে বড় পর্যটনকেন্দ্র। সারা বছর পর্যটকে ভর্তি থাকে এই দেশ। করোনা আতঙ্ক কেটে যাওয়ায় রাশিয়ায় এখন তিল ধারণের জায়গা নেই! থিক থিক করছে পর্যটক। যুদ্ধ নিয়েও কোন মাথাব্যথা নেই তাদের। যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ায় গেলেই বিপদে পড়বেন, এমন কোন আশঙ্কাও নেই পর্যটকের মধ্যে।
মস্কো থেকে বিমানে বৈকাল হ্রদের ওলখনে দ্বীপে ঘুরতে আসেন পর্যটকেরা, এটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। ওলখনে আসা একটি বিমানের একটি সিটও খালি থাকছে না। বিদেশি পর্যটকে পুরো উড়ান ভর্তি। যুদ্ধ ঘোষণার পরে যারা মস্কোয় এসেছেন তারা কেউই কোন সমস্যায় পড়েননি। বরফে জমে থাকা বৈকাল হ্রদের উপর গাড়িতে ভ্রমণ, সাইবেরিয়ায় বৈকাল হ্রদে স্টিমারে ভ্রমণ; সবই হচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দে।
যুদ্ধের মধ্যেও মস্কো পরিস্থিতি আগের মতোই স্বাভাবিক। যুদ্ধ নিয়ে কারও কোন তাপ-উত্তাপ নেই। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, যুদ্ধ কেউ না চাইলেও ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে পুতিনকে রাশিয়াবাসী দোষ দিতেও রাজি নয়। পুতিন যথেষ্ট ‘ব্যাক আপ’ পরিকল্পনা রেখেই ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছেন বলেই তাদের অভিমত। ২০১৭ সাল থেকে এই হামলার পরিকল্পনা বলেই মত মস্কোবাসীর।
মস্কোবাসীদের একটি বড় অংশের মতে, রাশিয়ার দীর্ঘকালীন নিরাপত্তার প্রয়োজনে এই যুদ্ধ অনিবার্য। যুদ্ধের কোনও অভিঘাত রাশিয়াবাসী উপরে পড়তে দেবেন না পুতিন, এমনটাই মস্কোবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস। অনেক রাশিয়ান নাগরিক আদৌ জানেন না যে, ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধ চলছে। রুশিদের বড় অংশের বক্তব্য, আমেরিকার প্ররোচনাতেই সমস্ত গন্ডগোল তৈরি হচ্ছে। পুতিনকে কেউ আক্রমণকারীও বলতে চাইছেন না।